শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের (Trinamul) প্রচারের প্রধান হাতিয়ার এবার মূল্যবৃদ্ধি (Price Hike) । আর সেই লক্ষ্যেই আজ শনিবার থেকে তৃণমূল পথে নামছে। আজ জ্বালানির মূল্যবৃদ্দি নিয়ে তৃণমূল রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভে, আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ( Kunal Ghosh) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “মানুষ খাবে কী , কী করে জীবনযাপন করবে সেটা নিয়ে তৃণমূলের ভাবনা আছে। তাই তৃণমূলনেত্রী রাজ্যে নানান জনমুখী প্রকল্প মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছেন। আর কেন্দ্রের সরকার উত্তরোত্তর মানুষের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে। আমরা এসব মানুষের কাছে তুলে ধরবো।”

এদিকে বিজেপির (BJP) তরফে বলা হয়েছে, তৃণমূল রাস্তায় নেমে জ্বালানির দাম বাড়ার জন্য প্রতিবাদ করলে সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়বে। তৃণমূল সরকারের উচিত জ্বালানির ওপর রাজ্য সরকার যে সেস নেয় সেটা ছেড়ে দিক। তাহলেই সমস্যা মিটে যায়। অসমে এভাবেই জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণে এনেছে সেই রাজ্যের সরকার।

তবে বিজেপি (BJP) যায় বলুক জ্বালানির দাম শুধু নয়, লকডাউনের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ৯০/৯৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০/১৪০ টাকা হয়েছে। চালের দাম বেড়েছে লাগামছাড়া। মাঝে আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের মানুষের পরিত্রাহি অবস্থা হয়েছিল। তৃণমূলরের ( Trinamul) যুক্তি ধারাবাহিক জ্বালানির দাম বাড়ার জন্য পরিবহন ব্যয় বেড়ে গিয়েই এই মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজ্যসরকারের কিছু করার নেই। রাজ্য সরকার সফল বাংলা থেকে সাধারণ মানুষের জন্য নায্যমূল্যে নিত্যদ্রব্য বিক্রির ব্যবস্থা করেছে সুফল বাংলা থেকে। এ ছাড়াও রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষকে মূল্যবৃদ্ধির যাঁতাকল থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প তৈরী করে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay ) বারবার বলেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আছে তৃণমূল সরকার (Trinamul Goverment )। তাছাড়া তৃণমূল সাংসদ ও যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Avishek Bandyopadhyay) এখন বিভিন্ন সভা-সমিতিতে বলছেন, “আমরা আমাদের সরকারের ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছি। সেই রিপোর্ট কার্ড আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গত ৭ বছরে তাদের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করুক। কাজের নিরিখে লড়াই হোক। এর জন্য আমি যে কোনও গণমাধ্যমে বিতর্কে বসতে রাজি আছি।” তবে বিজেপি অভিষেকের এই কথায় বিশেষ আমল দিচ্ছে না।

এদিকে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, “করোনা আবহে রাজ্য ও কেন্দ্রের রাজস্ব আদায়ের প্রায় সব দিকগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। কাজেই রাজস্ব আদায়ের জন্য একমাত্র জ্বালানির দাম বাড়িয়েই সরকার রাজস্ব আদায় করতে পারে। কেননা সরকার জানে দাম যতই বাড়ুক জ্বালানি বিক্রি বন্ধ হবে না। আর এই জ্বালানির ওপর কেন্দ্র, রাজ্য উভয়ই সেস নেয়। তাই রাজ্য সরকার পারে জ্বালানির ওপর রাজ্যের সেস কমিয়ে জানালির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
তাই এখন প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল সরকার ভোটের প্রচারে মূল্যবৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রচারে নামলে সেটা উল্টে তাদের তাদের বিপদের মুখে ঠেলে দেবে না তো?

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।