উন্নাও: উত্তরপ্রদেশের উন্নাও দুই দলিত কিশোরীর মৃত্যুকাণ্ডে না মোড়। এবার ধৃত দুই অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি। লখনই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনায় ধৃতেরা নিজেদের দোষ কবুল করেছে। দুই কিশোরীকে জলের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাওয়ানোর অপরাধ ধৃতরা স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

উন্নাওয়ের দলিত কিশোরীদের মৃত্যুর ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত দুজনেই পুলিশি জেরায় নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

ফের খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের উন্নাও। একটি ক্ষেতের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় কিন দলিত কিশোরীকে। উন্নাওয়ের অসোহার বাবুহারা গ্রামের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। উদ্ধার করা তিন কিশোরীর মধ্যে দুজন আগেই মারা গিয়েছিল বলে দাবি চিকিৎসকদের। তাদের পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিন কিশোরীর বয়স ১৫ বছর, ১৪ বছর ও ১৬ বছর। লখনউ শহর থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে অসোহার বাবুহারা গ্রামের একটি ক্ষেতে তাদের দেহ পড়েছিল। বুধবার সন্ধেয় তিন জন বাড়ি ফেরেনি দেখে তাদের পরিবারের সদস্যরা খুঁজতে বের হয়। তখনই ওই ক্ষেতের মধ্যে তিন জনকে পড়ে থাকতে দেখতে পায় গ্রামবাসীরা। তারা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয়। তিন কিশোরীকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে চার জনকে আটক করে পুলিশ। দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিযুক্তদের। পরে তাদের মধ্যে থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুজনেই অপরাধ স্বীকার করেছে। জলের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল দুই কিশোরীকে।

উন্নাওয়ে কিশোরীদের মৃত্যুর ঘটনায় দোষ স্বীকার করে নিয়ে এমনই জানিয়েছে ধৃতরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুজন আসোহার পাঠকপুরের বাসিন্দা। তবে ধৃতরা নিজেদের দোষ স্বীকার করলেও খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কারও যোগ রয়েছে কিনা ধৃতদের দফায়-দফায় জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।