কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা নয়
নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই উপস্থিত ছিলেন। কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং প্রথমে যাবেন না বলে জানিয়েও পরে তিনি অংশ নেন। কিন্তু একা অমরিন্দর কৃষি আইনের প্রসঙ্গ তুললেও তেমন হালে পানি পাননি। কৃষি আইন নিয়ে এক প্রকার ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছে মোদী সরকার। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন কোনও রাজ্যেই কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে কথা বলেনি। উল্টে কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে।
কৃষি আইনের বিরোধিতা
মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতায় একমাত্র বেশি তৎপর হয়েছে পাঞ্জাব। এবং তার পরেই বাংলা।তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন । কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এবং তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল।কৃষি আইনের প্রতিবাদে মূলত বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পাঞ্জাবের কৃষকরা। প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে দিল্লির সীমানায়।
কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর
নীতি আয়োগের বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন। দেশের কৃষকদের আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে মোদী সরকার। মূলক মানব সম্পদ উন্নয়ন সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে নীতি আয়োগের বৈঠকে। কৃষি আইনের বিরোধী দুই মুখ্যমন্ত্রী না থাকায় এক প্রকার সুবিধাই হয়েছিল মোদী সরকারের ।সহজেই কৃষি আইনের ইস্যুটি এড়িয়ে যেতে পেরেছে তারা।
মোদীর বার্তা
কেন্দ্রের বাজেট দেখে বাজেট করুক রাজ্য গুলি। নীতি আয়োগের বৈঠকে রাজ্যগুলিতে এমনই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস । মোদী সরকার এক দলের শাসক কায়েম করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজ্যের মানুষের কথা ভেবে বাজেট করে রাজ্য সরকার। আর মোদী সরকার কেবল এক শ্রেণির মানুষের কথা ভেবে বাজেট করে।