স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিধানসভা ভোটের মুখে নতুন স্লোগান প্রকাশ্যে এনেছে তৃণমূল। সেই নয়া স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করল বিরোধীরা৷ এই স্লোগানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা৷ তাদের বক্তব্য, ভোটের মুখে নিজের মেয়ে বলতে হচ্ছে কেন? তাহলে এতদিন কি পরে মেয়ে ছিলেন মমতা!

 ‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’র পর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। শনিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে এই নতুন স্লোগানের উদ্বোধন করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এপ্রসঙ্গে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “উনি কি দুয়োরানি থেকে সুয়োরানি হলেন?  তিনি তো একশো ভাগ বাংলার মহিলা৷ ২০১১ সালে মানুষ তো ওনাকে ভরসা করেছিল কিন্তু এখন ওনার কাজে মানুষ তিতিবিরক্ত হয়ে যাচ্ছে৷ সেটা বুঝেই কি এসব বলতে হচ্ছে? ভাইপোর স্ত্রী বাংলার মেয়ে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মেয়ে কিনা, সে প্রশ্ন তো কোনওদিন ওঠেনি৷ আসলে এগুলোতে তৃণমূলের অপদার্থতা প্রকাশ পায়৷”

অন্যদিকে, বীরভূমের বোলপুরের শিবপুরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের কটাক্ষ, “ওনার স্লোগান চলছে না, তাই নাম পাল্টাছে। মানুষ ভেবে নিয়েছে যে সরকার এবার বদল হচ্ছে। তাই উনি স্লোগান পরিবর্তন করছেন। সেলসম্যানরা যেমন প্রোডাক্ট বিক্রি না হলে নাম পরিবর্তন করেন, ব্যাপারটা ঠিক ওইরকম। একটা কথা-ই বলতে হয় যে, করলার নাম পরিবর্তন হয়ে গেলেই, করলা মিষ্টি হয়ে যায় না। করলার যতই নাম দেন না কেন, মিষ্টি কোনওদিন-ই হবে না।”

স্লোগানের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী পদে যখন বিরোধিরা মুখ খুঁজে চলেছে আমাদের তখন একটাই মুখ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষ তাঁকে আবারও গ্রাহণ করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’ এপ্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, “বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেয়নি ঠিকই, আমাদের লড়াই ইস্যুভিত্তিক। আমরা সুস্থ সরকার দেব। দুর্নীতিমুক্ত সরকার দেব। তৃণমূল তাদের মত বলতেই পারে। কাউকে মুখ্যমন্ত্রী প্রোজেক্ট করতেই পারে। তবে বাংলার মানুষ মমতার মুখ আর চায় না। আমাদের আদর্শ মোদী।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।