চেন্নাই: দিল্লিতে কৃষকদের প্রতিবাদ এবার উঠে এল স্কুলের প্রশ্নপত্রে। প্রশ্নপত্রে কৃষক বিক্ষোভের কথা তুলে ধরায় বিতর্কের মুখে পড়েছে ওই স্কুল। শুধু তাই নয়, প্রশ্নপত্রে সাধারণতন্ত্র দিবসের কৃষকদের প্রতিবাদকে ‘হিংসাত্মক উন্মাদনা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চেন্নাইয়ের একটি নামী স্কুলের ইংরেজি প্রশ্নপত্রে এই প্রসঙ্গে একটি প্রশ্ন এসেছে। পড়ুয়াদের বলা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রের সম্পাদককে চিঠি লিখতে। প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে, “এই ধরনের ভয়ানক ও হিংসাত্মক কাজের নিন্দা করে” চিঠি লিখতে। প্রশ্নপত্রে বিষয়টিকে “বহিরাগত উসকানিতে এই ধরনের হিংসাত্মক উন্মাদনা” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি ছিল দশম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা। সেখানেই এসেছিল এই প্রশ্ন।
মিউজিশিয়ান টি এম কৃষ্ণা এই প্রশ্নপত্রের একটি ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল সাইটে। তারপর থেকে নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকে বলছে, কৃষক প্রতিবাদ বর্তমানে দেশের একটি জ্বলন্ত ইস্যু। আদালতে এই নিয়ে মামলা চলছে। এমন একটি বিষয় নিয়ে কীভাবে প্রশ্নপত্রে রাখতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ?
This is a sample fm a Class X English paper of a popular Chennai school. The incident and the much larger farm bills issue is still being discussed but here this is being said ‘violent maniacs under external instigation’ pic.twitter.com/N27ooheHJV
— T M Krishna (@tmkrishna) February 19, 2021
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরকারের ৩টি বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ মাস ধরে দিল্লির সীমান্তে প্রবল ঠান্ডা ও নানা সরকারি বাধার মুখে দাঁড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। কিন্তু আইন সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহারে এখনও পর্যন্ত সম্মত হয়নি কেন্দ্র। আবার আইন সাময়িক স্থগিত রাখার যে প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র, তাতেও সম্মত হচ্ছেন না কৃষকরা। তাই এখনও পর্যন্ত অচলাবস্থা কাটার কোনও সম্ভাবনাই আপাতত দেখা যাচ্ছে না ।
দীর্ঘদিন ধরে কৃষকরা তাঁদের বক্তব্য নিয়ে আন্দোলন করছেন। সংসদে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে বারবার এই কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে নানা মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। তাদের দাবি তো মানা হয়নি উল্টে তাদের সম্পর্কের ‘আন্দোলনজীবী’, ‘পরজীবী’ ‘বিভ্রান্ত ‘ইত্যাদি ধরনের মন্তব্য শোনা গিয়েছে। এইসব কারণে কৃষকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দূরত্ব বাড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফলে কৃষকেরা চাইছেন আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে।
প্রসঙ্গত এর আগে কৃষক মোর্চা গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে হরতাল পালন করেছে। তাছাড়া ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর প্যারেড করতে দেখা গিয়েছিল। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রেল রোকোতেও সরকারের যদি হুশ না ফেরে তাহলে এই আন্দোলনের তীব্রতা আরো বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.