শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : অমিত শাহ (Amit Shah ) বলেছিলেন , “এবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) ঐতিহাসিক হবে।” করোনা আবহে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India ) কিছু ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। এবার করোনার আবহে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। তাই ৭৮ হাজার ৯০৩টি বুথকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৯০টি বুথ করা হচ্ছে। কিন্তু এতো সংখক বাড়তি বুথ করার মতো স্থান সংকুলান হবে কী ভাবে? সেই চিন্তা রয়েছে কমিশনার মাথায়। তাই বাস, এবং বাঁশের মঞ্চে হতে পারে ভোটের বুথ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কোনওদিন ভোট করতে বাসকে বুথ করার কথা ভাবতে হয়নি। যদি এটা করতেই হয় তাহলে বাসের ভেতরকার ব্যবস্থার অদলবদল করা হবে। সেক্ষেত্রে বাসের একটি দরজা দিয়ে ভোটাররা বাসে উঠে ভোট দিয়ে অন্য গেট দিয়ে নেমে যাবেন। কারণ কমিশনের নির্দেশ, ভোটাররা যে গেট দিইয়ে বুথে প্রবেশ করবেন তার বিপরীত গেট দিয়ে ভোট দিয়ে নেমে যেতে হবে। এই বিধি শুধু বাসে যে ভোটের বুথ হবে তার জন্য নয়। স্কুল বা কলেজ যে সব বুথ হবে সেখানেও এই বিধি মানতে হবে। করোনা আবহে ভোট হওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা।
শুধু বাসেই নয় এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনা (Election Commission of India ) বাঁশের মঞ্চ করে ভোটের বুথ করার পরিকল্পনাও রয়েছে। এবার ২২ হাজার ৮৮৭টি অতিরিক্ত বুথ করতে হবে। কিন্তু আম্ফানের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরের একটি অংশে স্কুল ও বহু ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই এবার ভ্রাম্যমাণ বুথ ও বাঁশের মঞ্চ করে বুথ করার ভাবনাচিন্তা করছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যেখানে এখনও আম্ফানের ক্ষতির পর পরিকাঠামো তৈরী হয়নি, সেখানে ভোটের বুথ তৈরী করা অসম্ভব। বাসে বুথ তৈরী হলে সেই বাসকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভোটারদের কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে। তাতে সবাই ভোট দিতে পারবেন। তবে পুরো বিষয়টিই এখনও ভাবনাচিন্তার পর্যায় রয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.