কলকাতা: কথায় আছে “আগে দ্যাখনদারি”। অর্থাৎ পরিবেশনটাই আসল। যে কোনো কাজকে আমরা কীভাবে উপস্থাপিত করছি সেটা খুবই জরুরি। কারণ তাতেই সেটার প্রতি আমাদের উৎসাহ আর আগ্রহ জাগে। আবার পরিবেশন বা সাজানো-গোছানো ভালো না হলে সব কিছুই ফ্যাকাশে লাগে। তাই এই দিকটি যে কোনো ক্ষেত্রেই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। রান্নার ক্ষেত্রে আমাদের সুন্দরভাবে সাজানো রেসিপি দেখতে যতটা ভালো লাগে, স্বাদে-গুণে পরিপূর্ণ অথচ পরিবেশন খারাপ এমন খাবার দেখতে ততটা ভালো লাগে না। তাই গার্নিশিং খুবই জরুরি। এতে বাড়ির সাধারণ রান্নাও দেখে মনে হয় শেফের হাতের ছোঁয়া রয়েছে।
১. সবার আগে দেখুন যে পাত্রে রাখবেন সেটি সুন্দর কিনা। খাবারের যা রঙ তার সঙ্গে মিল থাকতে হবে। প্লেন এক রঙের প্লেট বা পাত্র হলে বেশি ভালো। কারণ তাতে যে কোনো রান্নাই শোভা পাবে। নানা আকৃতির ও আয়তনের পাত্র পাওয়া যায় আজকাল। মূলতঃ গোলাকার পাত্রে রাখলে যে কোনো খাবার দেখতে ইন্টারেষ্টিং লাগে।
২. এমন পাত্র বাছবেন না যেখানে খাবার পাত্রের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। তা দেখতে ভালো লাগে না। আবার খুব বড়ো পাত্রে অল্প খাবার দেখতে মানায় না। সঠিক আকারের পাত্র নিতে ভুলবেন না। কাঁচের পাত্রও নিতে পারেন।
৩. প্লেটের ধারগুলিতে যেন ঝোল বা মশলা না লেগে থাকে। খাবার প্লেটের একদম মাঝ বরাবর বসাবেন।
৪. একসঙ্গে অনেকটা খাবার তুলবেন না। ঝোল বা গ্রেভি থাকলে অল্প অল্প করে নিয়ে পাত্রে রাখুন। সাজানোর জন্যে অল্প নিতে পারেন। পরে চাহিদামতো খাবার তুলুন।
৫. প্লেটে ঢালতে গিয়ে যদি খাবারের অংশ বা ঝোল বাইরে পড়ে যায় তাহলে সেটা সুন্দর করে পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার ঝকঝকে টেবিল না হলে খেতে বসতে কার ইচ্ছে করে?
৬. একটি ডিশ বানাতে যা যা উপকরণ দিয়েছেন তার মধ্যে থেকে একটা উপকরণ দিয়ে সাজান খাবারটি। তারপর সেটিকে টেবিলে রাখুন। প্লেটের সঙ্গে মানিয়ে গ্লাসও রাখবেন।
৭. কিছু খাবার একেবারে গরম পরিবেশনই ভালো লাগে। তাই সেগুলোকে ঠান্ডা করে পরিবেশন করবেন না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.