মস্কো: মানবদেহে মিলল বার্ড ফ্লুর ভাইরাস H5N8। রাশিয়ায় প্রথম এই ভাইরাসের স্ট্রেন মানুষের শরীরে পাওয়া গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
বার্ড ফ্লুর এই স্ট্রেন এতদিন রাশিয়া, ইউরোপ, চিন, মধ্য প্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকার পোলট্রিতে দেখা গিয়েছিল। H5N8 ছাড়া H5N1, H7N9 ও H9N2 ভাইরাসের স্ট্রেনও মিলেছিল পাখির শরীরে। কিন্তু এতদিন মানবদেহে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়নি। এবার মানুষের শরীরেও এই ভাইরাসের সন্ধান মিলল। গোটা ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। তবে এই ভাইরাস এখনও মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়নি। জানা গিয়েছে যাদের দেহে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে তারা সরাসরি জীবিত বা মৃত H5N8 ভাইরাসে সংক্রমিত এমন পাখির সংস্পর্শে এসেছিলেন।
বার্ড ফ্লু সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য় পোলট্রি পাখিদের হত্যা করা হয়। যাতে পাখিদের মধ্যে এই সংক্রমণ না ছড়ায় তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া। এই ভাইরাস মূলত পরিযায়ী পাখিদের থেকে আসে। তাই পোলট্রির পাখিদের সুরক্ষিত রাখতে বন্য পাখিদের থেকে তাদের দূরে রাখা প্রয়োজন। রাশিয়া এখনও পর্যন্ত ৭ জন H5N8 ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ডিসেম্বরে তারা একটি প্ল্যান্টের কাজ করেছিল। সেখান থেকেই সংক্রমণ এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ওই ৭ জন আপাতত সুস্থ রয়েছেন বলে WHO-র তরফে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বার্ড ফ্লুর প্রধান লক্ষণ হল জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথ যন্ত্রণা৷ সেই সঙ্গে গলা ফোলা, মাংস পেশিতে ব্যাথা, পেটের সমস্যা, চোখে ইনফেকশন এবং পেটের সমস্যা দেখা দেয়৷ তাই এই সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য কয়েকটি দেশের মতো ইতিমধ্যেই ভারতে থাবা বসিয়েছে বার্ড ফ্লু। তবে ভারতে কোনও মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেনি। নয়টি রাজ্যে (কেরল, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাব) এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার (বার্ড ফ্লু) প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব সহ অন্য মোট ১২ টি রাজ্যে কাক, অভিবাসী এবং বন্য পাখির ব্যাপারে বার্ড ফ্লু নিশ্চিত করা হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.