লেহ:  ভারতের সংস্কৃতি ও সভ্যতার সঙ্গে প্রাচীন কাল থেকেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িত সিন্ধুনদের তীরে অবস্থিত লেহ৷ এটি একটি আধুনিক শহর ও এই উপত্যকার প্রাণকেন্দ্র। ১১৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত লে শহরে সমস্থ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বর্তমান৷ লে শহরে বাজেট হোটেল থেকে লাক্সারী হোটেলে- কোনো কিছুরই অভাব নেইl

লেহ থেকেই যাওয়া যায় জনপ্রিয় সিনেমা থ্রি ইডিয়টসের দৌলতে বিখ্যাত প্যাংগং লেকে। অনেকে প্যাংগং দেখে এক দিনেই ফিরে আসেন। কিন্তু প্যাংগং হ্রদের ধারে স্প্যাংমিক গ্রামে তাঁবুতে রাত কাটালে জীবনের একটা স্মরনীয় দিন হয়ে থাকবে। চাঁদনি রাতে প্যাংগং হ্রদের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এছাড়া, প্যাংগং ছাড়াও লে থেকে সিন্ধু নদের পাশ ধরে রাস্তা পেরিয়ে যাওয়া যায় সো-মোরিরি হ্রদের ধারে রয়েছে কোরজোক গ্রাম। সেখান থেকে খানিক দূরে সো-কার হ্রদ। এই তিন হ্রদেই দেখা মেলে বহু পরিযায়ী পাখির।

কীভাবে যাবেন?

দিল্লি থেকে বিমানে লে যাওয়া যায়। আর সড়কপথে গেলে হিমাচল প্রদেশের মানালি হয়ে বা কাশ্মীর পৌঁছে য়াওয়া যায়৷ শ্রীনগর থেকে যাওয়া যায়৷

 লেহ লোকাল ভ্রমণ :  শান্তিস্তূপ, লেহ প্যালেস, ও হল অব ফেম , শ্যে গুম্ফা ,থিকসে গুম্ফা , হেমিস গুম্ফা ইত্যাদি দেখাl রাত্রিবাস লে শহরে l পরের দিন লেহ-চাংলা পাস-প্যাংগং লেক যাওয়া৷  রাত্রিবাস প্যাংগং লেক৷ তার পরের দিন প্যাংগং লেক থেকে -ল্যামডে মনাস্টেরি-চেমর মনাস্টেরি দেখে লেহ l রাত্রিবাস লে শহরে l

লাদাখ: লাদাখ শব্দের অর্থ ‘গিরিবর্ত্মের দেশ’। লাদাখ উপত্যকায় পৌঁছনো মানে হিমালয় পর্বতমালাকে উল্টো দিক থেকে দেখা। পরিচিত সুজলা সুফলা সজীব পার্বত্যভূমি এ দিকে বন্ধুর। বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে এখানের ভূপ্রকৃতি, গড়ন, মানুষজন, সংস্কৃতি- সবই যেন একটু অন্য রকম। মরুভূমি বলতেই একটা ছবি ভেসে ওঠে আমাদের মনে। লাদাখে মরুভূমির অন্য রূপ। হিমালয়ের মরুভূমি।

কীভাবে যাবেন?

লেহ, শ্রীনগর এবং মানালির সঙ্গে সড়কপথে এবং দিল্লি, শ্রীনগর জম্মুর সঙ্গে বিমানপথে যুক্ত। লেহ শহর থেকেই আমরা লাদাখ ভ্রমণ শুরু করতে পারি।

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: পুরো লাদাখেই ভেজ খাবারের প্রাধান্য বেশি। লে ছাড়া অন্য সব জায়গায় নন-ভেজ পাওয়া যায় না। লেহ শহরে ভেজ, নন-ভেজ দুটোই পাওয়া যায়। অন্যান্য জায়গায় শুধু ভেজ পাওয়া যায়।

নুব্রা, খারদুংলা পাস, চাংলা পাস, ওয়ারিলা পাস, তুরতুক গ্রাম , পাংগং লেকে এবং রিমোট গ্রামে যাওয়ার জন্য অনুমতি লাগে। ভারতীয়দের জন্য অনুমতি নেয়া খুবই সহজ। অনুমতি নিতে হয় লেহ শহরের ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস থেকে। এছাড়া অনুমতিপত্র এবং পাসপোর্টের বেশি করে ফটোকপি (কমপক্ষে ৭-৮ কপি) করে রাখবেন। বিভিন্ন চেক পোস্টে দিতে হয়।

লাদাখের রাস্তায় চলার জন্য xylo বা ইনোভা বা কোয়ালিস এর মতো গাড়ি সবথেকে উপযুক্ত। এই সব গাড়িতে ৫ থেকে ৬ জন খুব ভালো ভাবে যেতে পারেন। অন্য দিকে ১০ বা ১২ জন এর গ্রুপ হলে টেম্পো ট্রাভেলার বুক করে নিতে পারেন। একটা টেম্পো ট্রাভেলার এ ১২ থেকে ১৩ জন খুব ভালোভাবে বেড়াতে পারেন৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।