আবু ধাবি: আমাদের আপনজনের বিশেষ দিনগুলিকে তাদের জন্যে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা কী না করি। কিন্তু এমন কিছু দিতে গিয়ে যদি প্রাণ সংশয় হয়? এমনই কিছু ঘটলো দুবাইয়ে। জন্মদিনের উপহার হিসেবে প্রেমিকাকে কল্পনাতীত উপহার দিতে গিয়ে শ্রীঘরে প্রেমিক। কারণ সে চুরি করেছে। আপনি কি ভাবতে পারেন আপনার বিশেষ দিন বা জন্মদিনে কেউ আপনাকে উট উপহার দেবে? এই প্রেমিক তাই করেছে। কিন্তু এখন চুরির দায়ে সে জেলে।
প্রেমিকাকে এমন কিছু দিতে চেয়েছিলো যাতে তার কদর বাড়ে প্রেমিকার কাছে। তাই সে একটি সদ্য জন্মানো উট চুরি করেছিল। আমিরাত-এর পুলিশ এই বাচ্চা উট চুরির দায়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। সদ্যজাত উটটির মালিক জানায় যে এই মাসের শুরুর দিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না সেই উটটিকে। সঙ্গে সঙ্গে দুবাই পুলিশ কাছাকাছি অবস্থিত এলাকাগুলিতে তল্লাশি চালায় কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
বেশ কিছুদিন পর পুলিশ কর্তৃপক্ষ একটি ফোন পায়। যিনি ফোন করেন তিনিই জানান যে যেখান থেকে উটটি চুরি হয়েছে সেখান থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তার ফার্মে একটি উট ঢুকে পড়েছে। এরপরে পুলিশদের সন্দেহ হওয়ায় তারা সেই লোকটিকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। শেষে সে স্বীকার করে যে সে তার প্রতিবেশীর খামারে ঢুকে সেই বিরল প্রজাতির উটের শাবকটিকে চুরি করেছে তার প্রেমিকাকে উপহার দেওয়ার জন্যে। সে এটাও জানায় যে সে একটি পূর্ণবয়স্ক উট চুরি করতে গিয়েছিলো। সেটা খুঁজে না পাওয়ায় সে বাচ্চা উটটি চুরি করে। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে নিজেই পুলিশকে ফোন করে মিথ্যে গল্প বানায়।
পুলিশ ওই মালিককে তার চুরি হওয়া উটের শাবকটি ফিরিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে যুবক ও তার প্রেমিকাকে চুরির দায়ে ও মিথ্যে বলার কারণে আটক করেছে। একসময়ে দুবাইয়ের ঐতিহ্য বলতে উটকেই মানা হতো। কিন্তু ক্রমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই আভিজাত্য লোপ পেয়েছে। তবে এখনো কেউ কেউ সেখানে তার নিজস্ব খামারে উট পালন করেন দুধ ও মাংসের জন্যে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.