সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : আজ অনলাইন ক্লাসের রমরমা। অনালাইনে পড়াশোনা, গান শেখা , নাচ শেখা সবকিছু। কিন্তু যদি বলা হয় এমন শিক্ষা পদ্ধতির অনেক আগেই দেখিয়েছিলেন এক বাঙালি। তিনি পঙ্কজ মল্লিক। বুঝতে পারছেন আশা করি। হ্যাঁ, মহিষাসুরমর্দিনী খ্যাত পঙ্কজ মল্লিক।

কীভাবে এমন কাজ করেছিলেন তিনি? তখন তো ইন্টারনেট নেই। তিনি এমন কাজ করেছিলেন বেতারের মাধ্যমে। ১৯২৯ সালের শেষের দিকে পঙ্কজ মল্লিক কলকাতা বেতারে নামে একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা শুরু করেছিলেন। নাম ছিল ‘সঙ্গীত শিক্ষার আসর’। এখানে নজরুল, রবীন্দ্র সঙ্গীতসহ অতুল প্রসাদ, রজনীকান্ত এবং দ্বিজেন্দ্রলালের গান শেখানো হতো। এছাড়াও তাঁর শেখানো গানের তালিকায় ছিল পদকীর্তন, শ্যামাসঙ্গীত, পল্লীগীতি, দেশাত্মবোধক গান, আনুষ্ঠানিক গান, তুলসীদাসী সঙ্গীত, সুর দাস, গুরুনানক, মীরাবাঈ প্রমুখের হিন্দী ভজন।

১৯২৭ সাল থেকে তিনি কলকাতার ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনে কাজ শুরু করেন। এই সংস্থা পরে অল ইন্ডিয়া রেডিও (এআইআর) (বর্তমানে আকাশবাণী কলকাতা) নামে পরিচিত হয়। এখানে তাঁর সহকর্মী ছিলেন রাইচাঁদ বড়াল। প্রায় পঞ্চাশ বছর তিনি আকাশবাণীকে সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। তিনি কুন্দনলাল সায়গল, শচীন দেব বর্মণ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, গীতা দত্ত, আশা ভোসলে প্রমুখ সংগীত পরিচালক ও শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্রে তিনি কুন্দনলাল সায়গল, প্রমথেশ বড়ুয়া ও কানন দেবীর মতো শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয়ও করেন। নীতিন বসু ও রাইচাঁদ বড়ালের সঙ্গে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে নেপথ্য কণ্ঠসংগীতের প্রবর্তন করেছিলেন। ভারতের প্রথম যুগের ফিল্ম স্টুডিও নিউ থিয়েটার্সের সঙ্গে তিনি ২৫ বছর যুক্ত ছিলেন। রবীন্দ্রসংগীতকে জনপ্রিয় করে তোলার কাজেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

১৯৭০ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৭২ সালে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারত সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করে। আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি পঙ্কজ মল্লিকের মৃত্যুদিন। প্রসঙ্গত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো দ্বিপেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। তাঁকে আমরা সকলে দিনু ঠাকুর হিসাবে চিনি। তিনি রবীন্দ্রনাথের বেশীরভাগ গানের স্বরলিপি রচনা করেছিলেন। এমন একজনের সঙ্গে পরিচয় জীবন বদলে দিয়েছিল পঙ্কজ মল্লিকের। স্বাভাবিকভাবেই রবীন্দ্রসংগীতের প্রতি আকৃষ্ট হন। পরে রবীন্দ্রনাথের স্নেহের পাত্রে পরিণত হন। বাকিটা ইতিহাস।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।