স্টাফ রিপোর্টার, বহরমপুর: নিমতিতা স্টেশন থেকে নমুনা সংগ্রহ করল ফরেন্সিক দল৷ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিকের প্রতিনিধিরা৷ দলে ছিলেন সাতজন বিশেষজ্ঞ। ল্যবরেটারির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর বোমা হামলার ঘটনার তদন্তে আরও অগ্রগতি হবে বলেন জানিয়েছেন তাঁরা৷
বৃহস্পতিবার সকালেই মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশন চত্বরে যায় সিআইডি-র তদন্তকারী দল। তাঁরা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন।বিশেষ করে স্টেশনের যে অংশে বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেই এলাকা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বুধবার রাতে প্ল্যাটফর্মে কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে এখনও ছড়িয়ে রয়েছে বিস্ফোরণের বহু চিহ্ন। তা পরীক্ষা করেন সিআইডি আধিকারিকরা। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের রেললাইনে নেমেও তাঁরা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। তদন্তকারী দলের মাথায় এডিজি সিআইডি অনুজ শর্মা। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি রেল পুলিশ (জিআরপি)-ও তদন্ত করছে। কারণ গোটা ঘটনাটি ঘটেছে নিমতিতা স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের উপরে। সেই সঙ্গে রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)-র নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বুধবার মুর্শিদাবাদের নিমতিতায় বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন৷ জানা গিয়েছে, নিজের বিড়ি কারখানা থেকে বের হওয়ার পরেই আক্রান্ত হন শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সূত্রের খবর, নিমতিতা স্টেশনে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করেই ছোড়া হয়েছে ওই বোমা। জাকির হোসেনের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ঘটনায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মন্ত্রীকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরে তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে কলকাতায় এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ সেখানেই তাঁর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন তিনি। আপাতত স্থিতিশীল মন্ত্রী জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মন্ত্রীর পাশাপাশি দেহরক্ষী সুজন বিশ্বাসকেও এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁর শরীরে স্প্লিন্টারের আঘাতের মাত্রা বেশি। মন্ত্রীর মতোই বৃহস্পতিবার তাঁরও অস্ত্রোপচার করা হবে। আরও যে ১৪ জনের মতো আহত হয়েছিলেন, তাঁদের কয়েকজন অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.