মানকর(পূর্ব বর্ধমান): লাগামছাড়া বেঁফাস মন্তব্যের চোটে ভাষণে খেই হারিয়ে ফেললেন বিজেপি সাংসদ সুনীল মণ্ডল। তাঁর ভাষণের চোটে চোখে সরষে ফুল দেখলেন উপস্থিত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

পূর্ব বর্ধমানের মানকরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচার অভিযানে সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেন, “মন্ত্রী কীভাবে মারা গেল দেখলেন তো, আপনারা আমরা তো নগন্য। একজন রাজ্যের মন্ত্রী তাকেও চলে যেতে হলো। তার দোষ চাপাচ্ছে আমাদের ঘাড়ে। এইবার আপনাদের বুঝতে হবে, কী অবস্থা বাংলার।”

কোন মন্ত্রীর চলে যাওয়া (মৃত্যুর) কথা বলেছেন বিজেপি সাংসদ সুনীল মণ্ডল? প্রশ্ন উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসছে সদ্য দুষ্কৃতিদের বোমার হামলায় জখম রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের কথা।

মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বোমা হামলায় জখম মন্ত্রী জাকির হোসেন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত করছে সিআইডি। মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। মন্ত্রী জাকির হোসেনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপি সাংসদ যেভাবে ‘মন্ত্রীর চলে যাওয়া’ মন্তব্য করেছেন তার জেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তাঁর ভাষণ নিয়ে চলছে কটাক্ষের পালা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগদান করার পর থেকে জেলা ও রাজ্যস্তরে আলোচিত।

এদিকে খবর এসেছে, আপাতত স্থিতিশীল মন্ত্রী জাকির হোসেন। জেড ক্যাটাগোরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীকে। মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে মন্ত্রীর দুই দেহরক্ষী সহ মোট পাঁচ জন জখম হন। রাজ্যে মন্ত্রীর সুরক্ষা নেই, এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

পূর্ব বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলের কটাক্ষ বেলাগাম ভাষণে বিজেপি নেতা সুনীল মণ্ডল রাজ্যের নিরাপত্তা প্রসঙ্গ টেনে এনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। এর আগে কালনাতে তিনি বলেন, বিজেপি কর্মীদের গায়ে হাত পড়লে ছেড়ে দেব না। শুধু মোবাইল ফোনে ছবিটা তুলে রাখবেন। পরে তাদের গাছে টাঙিয়ে দেব।’

গত ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করেন সুনীল মণ্ডল। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। কলকাতায় বিজেপির দলীয় দফতরে প্রবেশের সময় তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তবে সুনীল মণ্ডল একইরকম রয়েছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।