বেজিং: লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ধীরে ধীরে গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের কঠিন বরফ। সীমান্তে উত্তেজনা যখন প্রায় প্রশমিত এমতাবস্থায় চিন প্রথমবার স্বীকার করে নিল যে, গালওয়ানে তাঁদের সেনার মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরের জুনে ঘটা সেই রক্তাক্ত সংঘর্ষে তাঁদের চার সেনার মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে চিন। অন্যদিকে রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা শহিদ হন।
গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, চিনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন কারাকোরাম পর্বতে অবস্থানরত পাঁচ চিনা সেনার আত্মবলিদানের কথা স্মরণ করেছে। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি চায়নায় বলা হয়েছে, যে চারজন সেনা প্রাণ হারিয়েছিল তাঁদের মরোনোত্তর পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ও অপরজনের মৃত্যু হয়েছে উদ্ধারকাজ চলাকালীন নদীর বন্যার কারণে।
যদিও মনে করা হচ্ছে সংঘর্ষে মৃত সেনার সংখ্যা কম করে দেখাচ্ছে লাল চিন। গালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৫জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস তেমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। রিপোর্টে বলা হয়, ২০২০ সালে ১৫ই জুন যে সংঘর্ষের পরে ২০ জন ভারতীয় সেনা মারা গিয়েছিল, সেই সংঘর্ষেই খতম করা হয়েছিল ৪৫ জন চিনা সেনাকে।
এতদিন চিনের দাবি ছিল তাদের ক্ষয়ক্ষতি সেভাবে হয়নি। তবে তারা ভারতের ২০ জন সেনাকে শহিদ করে বড় ক্ষতি করতে পেরেছে। তাদের দাবি যে ভুয়ো ছিল, তা প্রমাণ হয়ে গেল এদিন।
আরও পড়ুন – আরও মহার্ঘ্য, কলকাতায় ফের বাড়ল পেট্রোলের দাম
কেন তাহলে চিন এতদিন মুখ খোলেনি এপ্রসঙ্গে আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট বলেছিল, কতজন সেনা মারা গিয়েছে তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই চিন মুখ খোলেনি। কারণ তাহলে বেজিংয়ের ভয়াবহ ভুল সামনে চলে আসতে পারে।
তবে এখন গলেছে দু-দেশের সীমান্ত উত্তাপের বরফ। সম্প্রতি নয়াদিল্লির হাতে এসেছে এমন কিছু উপগ্রহ চিত্র যা দেখে ভারত দাবি করছে চিনা সেনার দখল মুক্ত প্যাংগং লেক। দুই পক্ষের সেনাই সরে এসেছে প্যাংগং লেকের পাশ থেকে বলে খবর।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.