কলকাতা: আব্বাসের দলের সঙ্গে বাম-কংগ্রেস সমঝোতায় ধাক্কা। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে মালদহ, মুর্শিদাবাদে কোনও আসন ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

কংগ্রেস আসন ছাড়া প্রসঙ্গে কঠোর অবস্থান নিতেই আব্বাসের দলের সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আব্বাস সিদ্দিকী আগেই জানিয়েছিলেন, আসন নিয়ে পাকাপাকিভাবে তাঁদের দাবি মানা না হলে একলা চলতেও তাঁদের আপত্তি নেই। যদিও আব্বাস সিদ্দিকীর দাবি মেনে আগেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে মোট ২৭টি আসন ছাড়ছে বামেরা।

আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের অন্তর্ভূক্তিই জোট বাম-কংগ্রেসের বোঝাপড়ায় ধাক্কা দিল। আব্বাসের আবদার সামলাতে প্রায় হিমশিম দশা বাম-কংগ্রেসের। বাম ও কংগ্রেস নেতাদের আগেই পছন্দের আসনের তালিকা দিয়ে রেখেছিলেন আব্বাস সিদ্দিকী।

আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা শুরু থেকেই আব্বাসের দলের সঙ্গে জোট চাইছিলেন। সেই কারণেই আব্বাসের তরফে জোটবার্তা পেতেই তৎপরতা শুরু করে দিয়েছিলেন বাম নেতারা। শরিক দলগুলির সঙ্গে বারংবার করা বৈঠকে আসন ছাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ঠিক হয়েছে আব্বাসের দলকে মোট ২৭টি আসন ছাড়বে বামেরা।

এবার পালা কংগ্রেসের। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়েছে, আব্বাসের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে মুর্শিদাবাদ-মালদহে একটি আসনও ছাড়া যাবে না। যুক্তি হিসেবে কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন, মালদহ, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক এখনও চাঙ্গা।

ব্লকে-ব্লকে কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তিও বেশি। কিন্তু ওই দুই জেলাতেই আগেভাগেই বেশ কিছু আসন দাবি করেছেন আব্বাস সিদ্দিকী। এখানেই চটেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই মালদহ ও মুর্শিদাবাদে কোনও আসন আব্বাসের দলকে ছাড়া হবে না বলে আলিমুদ্দিনের নেতাদেরও জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

যদিও আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে নিয়েই তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে যেতে চায় বামেরা। এবারবামেদের তরফেও জট কাটাতে আলোচনায় তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। এই আবহে শনিবার ফের বাম ও কংগ্রেস বৈঠকে বসছে। জানা গিয়েছে, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু থাকবেন বৈঠকে। বৈঠকে থাকবেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও। আব্বাসের দলের সঙ্গে জোট নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।