অভিষেকের হাত ধরে সংগঠনে প্রশান্ত কিশোর
পিকের সংস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তৃণমূল নেতাদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সংগঠনে নাক গলিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। ফলে প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অনেকেই দল পরিবর্তন করেছেন। অনেকে দল পরিবর্তনের জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন।
তৃণমূলের ভোট-কৌশলী হিসেবে নিযুক্ত প্রশান্ত কিশোর
২০১৯ সালের নির্বাচনী পরাজয়ের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে বিজেপি হাই-ভোল্টেজ প্রচারে নামবে। তাই অভিষেককে তিনি ব্যাকরুমের কাজের ভার অর্পণ করেছিলেন। এর মধ্যে অভিষেক আবার তৃণমূলের ভোট-কৌশলী হিসেবে কাজে নিযুক্ত করেছিলেন প্রশান্ত কিশোরকে।
প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক অভিষেকের সঙ্গে সমন্বয়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু সরকারের কাজে বেশি মনোনিবেশ করেছিলেন, তাই তিনি প্রশান্ত কিশোরের সাথে কাজ করার ভার দিয়েছিলেন অভিষেককে। প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক অভিষেকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। প্রশান্ত কিশোরের টিমের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে সাম্প্রতিক সাংগঠনিক পরিবর্তনও করা হয় তৃণমূলে।
অভিষেক গুরুত্ব পেয়েছেন পিকের টিমের রিপোর্টে
অভিযোগ, প্রশান্ত কিশোরের টিম আই প্যাকের সাংগঠনিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পরিবর্তন হলেও দেখা যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই গুরুত্ব পেয়েছেন। পার্টির সাংগঠনিক পরিবর্তনে প্রবীণদের একাংশ বিরক্ত হয়েছেন। বিরক্তে হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্ত, জটু লাহিড়ীদের মতো অনেকেই।
তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম?
দলের প্রবীণ নেতারা মনে করছেন, দলে শুধু তরুণদের গুরুত্ব দিতে গিয়ে অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম। এর ফলে দল ক্ষতিগ্রস্থ হলে প্রশান্ত কিশোর দায়বদ্ধ থাকবেন। প্রশান্ত কিশোরের টিম জেলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। যাঁরা নিজের বুথে জিততে পারবেন না তাঁদের প্রধানত দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ক্লিন মুখ সামনে তুলে আনার চেষ্টা করে তৃণমূল
তৃণমূলস্তর থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত মুখ বদল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে পঞ্চায়েত, পুরসভা ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ রয়েছে। যার ফল ভুগতে হয়েছে। এবার তাই ক্লিন মুখ সামনে তুলে আনার চেষ্টা করে তৃণমূল।