কেন ৭০টি আসন দাবি নতুন দল করেই! সমীক্ষা করেই সিদ্ধান্ত আব্বাস সিদ্দিকির

মাত্র এক মাস আগে নতুন দল করেছেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নামে নতুন দল গড়েই তিনি বাম-কংগ্রেসের মহাজোটে সামিল হতে চাইছেন। কিন্তু সমস্যা হল মহাজোটের রফায় তাঁর দাবি ৭০ আসনের। আব্বাস সিদ্দিকি জানিয়েছেন, সমীক্ষা করেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

৭০টি আসনের দাবি কোন যুক্তিতে

সিদ্দিকি জানান, তাঁর দল যে ৭০টি আসনের দাবি জানিয়েছে, তার পিছনে যুক্তি রয়েছে। শুধু যুক্তি বললে ভুল হবে, রয়েছে কড়া বাস্তব। গোপন সমীক্ষার ফল দেখেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং তা ফলপ্রসূ হবে বলে বিশ্বাস রাখেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা রাজ্যের সাত জেলায় একটা সমীক্ষা করেছি।

সমীক্ষা করে জেনেছি, কোথায় প্রার্থী দিলে ফলপ্রসূ হব

সিদ্দিকি বলেন, "আমরা সমীক্ষা করে জেনেছি, কোথায় প্রার্থী দিলে আমরা ফলপ্রসূ হব। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, দক্ষিণ এবং উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।" এর মধ্যে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের ঘাঁটি। দল দুটি জেলাতেই আসন ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নয়।

ভোটের বিভাজন এড়াতে হাত মিলাতে পারি

সিদ্দিকি আরও বলেন, "জোট থেকে তিনি এখনও সবুজ সংকেত পাননি। আমরা এখনও তাদের কাছ থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পাইনি। তারা যদি আমাদের যুক্তিসঙ্গত সংখ্যক আসন দিতে পারে তবে আমরা ভোটের বিভাজন এড়াতে তাদের সাথে হাত মিলাতে পারি।"

উচিত সব প্রতিকূলতা দূরে সরিয়ে একসাথে লড়াই করা

সিদ্দিকি বলেন, "আমরা জানি যে কংগ্রেস একটি শর্ত রেখেছিল। তবে, এই জাতীয় যুদ্ধে, আমাদের উচিত সব প্রতিকূলতা দূরে সরিয়ে একসাথে লড়াই করা। তারা যদি শর্তের বিষয়ের কথা বলে তবে আমার আরও অনেক শর্ত থাকতে পারে। এআইআইএমএম আমাদের সমর্থন করেছিল এবং আমরা তা সঠিক বলে মনে করি। তাই আমাদের মুক্ত হাত দিয়েছে।"

তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর কাছে এসেছিল : আব্বাস

আইএসএফ এবং মিমের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। সিদ্দিকী আরও বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর কাছে এসেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী বোঝাপড়ার জন্য তাঁর প্রতিনিধিদের আমার কাছে প্রেরণ করেছিলেন। আমি ৪৪ আসনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল এবং সেখানেই আলোচনা শেষ হয়েছে।"

More CONGRESS News