স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শুক্রবার আর কোনও অস্ত্রোপচার হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাঁর। মন্ত্রীর ১৪ জন সঙ্গী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।
বুধবার মুর্শিদাবাদের নিমতিতায় বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন৷ হামলার ঘটনায় আহত হন মন্ত্রী-সহ ২২ জন। এদের মধ্যে মন্ত্রী ও তাঁর দেহরক্ষী ছাড়া আরও কয়েকজনকে এসএসকেএমে আনা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মন্ত্রীকে রাখা হয় ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। আরও কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে মুর্শিদাবাদেই।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত ছিল একাধিক আঘাত। একাধিক স্প্লিন্টারের আঘাত বাঁ পায়ে। সূত্রের খবর, জাকির হোসেনের গোড়ালির হাড় ভেঙেছে, হাড় ভেঙেছে পায়ের দু’জায়গায়। ঝলসে গিয়েছে পা, উড়ে গিয়েছে হাতের একটি আঙুল। এছাড়া, তাঁর হাতের বুড়ো আঙুল মারাত্মক রকম জখম, খবর সূত্রের। মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। বৃহস্পতিবার সকালে অস্ত্রোপচার হয়। বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রীর সঙ্গীদের কারও কারও অস্ত্রোপচার হয়। শুক্রবার সকালেও প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার হয় কয়েকজনের। প্লাস্টিক ও রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জনদের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার হয়।
এদিকে, সূত্রের খবর, এবার জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে পারেন মন্ত্রী৷ জেলা পুলিশ থেকে তারজন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে খবর৷ উল্লেখ্য, জাকির হোসেনকে দেখতে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জাকিরের শারীরিক পরিস্থিতিরও খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি বলেছন, এটা পরিকল্পিত হামলা, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, রিমোটের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃ্ঙ্খলার অবনতি নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা খারিজ করে ঘটনার পুরো দায়ভার রেলের উপর চাপিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কেন রেলস্টেশনে আলো ছিল না? ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষের দেখা মেলেনি? জাকির রেলে যাবে নিশ্চয়ই ওরা জানত, তা সত্ত্বেও কোনও নিরাপত্তা ছিল না। রেল পুলিসের নিয়ন্ত্রণে থাকে রেল স্টেশন। রাজ্য পুলিসের আওতাধীন নয়।’ রেল অবশ্য আগেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি খারিজ করেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.