গুয়াহাটি: এসেছে হুঁশিয়ারি, হয় মুক্তিপণের শর্ত বাবদ ২০ কোটি টাকা দাও, না হলে চরম শাস্তির খবর শুনতে তৈরি থাকো।বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা (স্বাধীনতা) ও নাগা জঙ্গি এনএসসিএন (খাপলাং) এর গোপন ডেরায় বন্দি রাম কুমার ও প্রণব গগৈ কে আর বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয় এমনই ইঙ্গিত দিয়ে গুয়াহাটির সংবাদ মাধ্যমে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

রাম কুমার বিহারের খাগাড়িয়ার বাসিন্দা। তার । পুত্র ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত। রাম কুমারকে ছেড়ে দিতে পরিবারের তরফে আলফা জঙ্গিদের প্রতি আবেদন করা হয়েছিল পরিবারের তরফে। কোনও কিছুই কাজে আসেনি। অপর অপহৃত প্রণবকুমার গগৈ শিবসাগর জেলার বাসিন্দা। তাঁর পরিবারও চরম উদ্বেগে।

গত ২১ ডিসেম্বর রাম কুমার ও প্রণব গগৈ কে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। অসম-অরুণাচল আন্তঃরাজ্য সীমানায় তেলের খনির কর্মী এই দুজন। তাদের মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর শেষ দিন ছিল ১৬ ফেব্রুয়ারি। গত চারদিন নীরব থাকে আলফা(আই) ও এনএসসিএন (খাপলাং) জঙ্গি গোষ্ঠী।

শুক্রবার এসেছে নতুন হুঁশিয়ারি। সংবাদ মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে চরম খবর শোনানো হবে। এই বার্তা আসতেই রাজ্য সরকার আরও বিব্রত। অসম ও অরুণাচল প্রদেশের সরকারের তরফে জঙ্গি ডেরার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

এদিকে যে তেলের কোম্পানির কর্মী রাম কুমার ও প্রণব গগৈ সেখানে শুরু হয়েছে কর্ম বিরতি। কোনও শ্রমিক কাজ শুরু করেননি। তাঁদের দাবি, দুই অপহৃত সহকর্মীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় গাফিলতি রয়েছে। কর্ম বিরতির ফলে চাপে পড়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি। কর্মীরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

আলফা (আই) ও এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর এই ধরণের অপহরণ কর্মকাণ্ডের জেরে জীবন হাতে করে চলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিভিন্ন সময়ে আসে হুমকি ও টাকা আদায়ের জন্য ফোন। বারবার নাশকতা ঘটিয়েছে দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন।

আগেই গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, আলফা(স্বাধীনতা) সুপ্রিম কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া চিন ও মায়ানমারের সীমান্ত এলাকার ঘাঁটিতে রয়েছে। সেখান থেকেই অসম সহ উত্তর পূর্ব ভারতে নাশকতার পরিকল্পনা করে। আর নাগা জঙ্গি সংগছন এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠী মায়ানমারের মূল কেন্দ্র থেকে পরিচালিত হয়। সম্প্রতি তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় সংগঠনটির একটি শাখা ভারতের দিকে সরে এসে ঘাঁটি তৈরি করে।

রাজ্যে নির্বাচন আসন্ন। অসম সরকারের কাছে নাশকতা মুক্ত রাজ্যের পরিবেশ বড়সড় চ্যালেঞ্জ। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এসে দাবি করে আলফা ও সহযোগী সংগঠনগুলির সঙ্গে শান্তি আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ছোট মাঝারি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আলফা (স্বাধীনতা)বারবারই নিজেদের অস্তিত্বকে স্পষ্ট করেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।