তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া : নতুন করে ২৫ টি পথ কুকুর মারা গেল বিষ্ণুপুর পুর এলাকায়। সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটা দু’শো ছাড়ালো। ধারাবাহিক পথ কুকুর মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কিত শহরবাসী, চিন্তিত পৌরসভা।
পুরসভার প্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দোপাধ্যায় বলেন, কুকুর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আতঙ্কের কিছু নেই। এই রোগ কুকুর থেকে কুকুরেই ছড়ায়, মানুষের মধ্যে সংক্রমণের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে মৃত কুকুরের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আসল কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।
সরকারী প্রাণী চিকিৎসক ডাঃ অনিমেষ হেঁস বলেন, মৃত কুকুরের ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিক অনুমান এটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। আরো সঠিক রোগ নির্নয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বিষ্ণুপুর পুরসভা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ৬০ টি, বুধবার ৮৩ টি ও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৫ টি কুকুর মারা গেছে। হঠাৎ কি কারণে একের পর এক পথ কুকুর মারা যাচ্ছে বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারো কাছেই। পৌর কর্তৃপক্ষের তরফে ঐ সব মৃত পথ কুকুর শহরের ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে মৃত কুকুর ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত অনেকেই। এর ফলে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ।
ধারাবাহিক কুকুর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন পশুপ্রেমীরাও। ঠিক কি কারণে শহরে এই কুকুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শহরের সরকারী পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ মৃণাল কান্তি দে ঋতু পরিবর্তনের কারণে এই সময় কুকুরের মধ্যে ‘ভাইরাল ইনফেকশানে’র সম্ভাবনা বাড়ে। পথ কুকুরদের সেভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়না। ফলে ঐ ভাইরাল ইনফেকশান থেকেও এই কুকুরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। তবে অসুস্থ পোষ্য কুকুর নিয়ে এখনো কেউ চিকিৎসা করাতে আসেনি। বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মৃত কুকুরের ময়নাতদন্তের পর রোগ নির্নয় সম্ভব তিনি জানান।
শহরে কুকুর মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন পৌর প্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক সময়ে এই কুকুর মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.