আব্বাসদের ডেডলাইন!
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট চাইছে আইএসএফ ও কংগ্রেসের মধ্যে জলদি বোঝাপড়া হয়ে যাক। এতে একুশের ভোট প্রচার জোরদার করা যাবে। অন্যদিকে, আব্বাস শিবির জানিয়েছে, আর গড়িমসি নয় শুক্রবারের মধ্যেই কংগ্রেস আসন রফা নিয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের রাস্তায় আসুক। এমনই তথ্য উঠে আসছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে। এদিকে, বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাসদের কিছু মতান্তর রয়েছে বলে খবর। সেই জায়গা থেকে বাংলার বুকে জোট সম্ভাবনা একাধিক ফ্যাক্টরের ওপর আধারিত।
জোট অঙ্ক, নজরে কোন কোন আসন?
শোনা যাচ্ছে, রাজ্যের ২৯৪ আসনের মধ্যে ১৭ টি সংখ্যালঘু আসনকে নজরে রেখেছে আব্বাস শিবির। সেই আসনগুলিই কংগ্রেসের সঙ্গে বিবাদের কারণ। মালদা, উত্তরদিনাজপুর ও অধিরগড় মুর্শিদাবাদের আসন নিয়েই মূল টানাপোড়েন বলে খবর। 'আনন্দবাজার ডিজিটাল' এ প্রকাশিত এক খবর বলছে, অধীর চৌধুরী , আবদুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্যদের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে স্থির হয় যে কংগ্রেস যে আসন গতবার জিতেছে তা নিয়ে আইএসএফের যে দাবি তা বাদ রেখে আলোচনা হবে। অর্থাৎ কংগ্রেসের জেতা আসন আইএশএফকে দিতে রাজি নয় অধীর বাহিনী। সেক্ষেত্রে দক্ষিণের কিছু আসন আব্বাসরা দাবি করছে বলে জানা গিয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
দক্ষিণবঙ্গে আব্বাসদের নজরে কোন এলাকা?
জানা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের কাঙ্খিত এলাকা না পেলে , আব্বাসরা দক্ষিণের কলকাতা বন্দর ও বালিগঞ্জকে চাহিদার তালিকায় রাখছেন। এই জায়গা থেকে মেটিয়াবুরুজ আব্বাসদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছে সিপিএম। বন্দর আব্বাসদের কাছে থাকলে, মেটিয়াবুরুজে তারা নজর রাখতে পারবেন বলে বামেরা ভাবছেন। এমনই তথ্য শোনা যাচ্ছে। এদিকে, আব্বাসদের দাবি, প্রথমে যত আসন তাঁরা চেয়েছিলেন, এখন সেই জায়গা থেকে তাঁদের সুর নরম। আর কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর তাঁরাও কিছু আদল-বদল রেখেই জোট চূড়ান্তের দিকে এগিয়ে যেতে চায়।
রুদ্ধশ্বাস তৎপরতা
আইএসএফের নেতা নৌসাদের সঙ্গে বাম চেয়ারম্যান বিমান বসুর দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে বলে খবর। সেখানে উপসঅথিত ছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। সেই সময় ২২ টি আসন নিয়ে গুই পক্ষের কথা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তারপরই নৌসাদ দাবি করেন বামেদের সঙ্গে ৮০ শতাংশ কথা হয়েছে, এবার বাকি কংগ্রেসের সঙ্গে কথা। তিনি সেই সময়ই জানান যে কংগ্রেসের উত্তরের উপর বাকিটা নির্ভর করছে। এরপর বামেদের তরফে কংগ্রেসকে আসন রফা ও জোট রফা নিয়ে দ্রুত ফয়সলার ডাক দেওয়া হয়েছে বেল এক নামী সংবাদপত্র জানিয়েছে। এরপরই আবদুল মান্নান প্রজীপ ভট্টাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অধীর চৌধুরী। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে কংগ্রেস শিবিরে জোট নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়। এদিকে, আব্বাসদের ডেডলাইন রয়েছে শুক্রবার। এই জায়গা থেকে পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে সেদিকে নজর গোটা বাংলার।