আমেদাবাদের মোতেরায় ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগেই ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড। গোলাপি বলে দিন-রাতের এই টেস্ট তো বটেই, গোটা টেস্ট সিরিজেই নির্ভরযোগ্য পেসারকে পাচ্ছেন না জো রুটরা। ইংল্যান্ড থেকে আমেদাবাদের সরাসরি বিমান না থাকায় স্যাম কুরান দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারছেন না। শ্রীলঙ্কায় দুটি টেস্ট খেলে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও মার্ক উডের সঙ্গে। তবে গত জুলাই থেকে তিনি লকডাউন পরিবেশের মধ্যে থাকায় তাঁর ছুটি কয়েকদিন বাড়ায় ইসিবি। তাতেই বিপত্তি। ভারতে এসে কোয়ারান্টিন-পর্ব কাটিয়ে বেয়ারস্টো, উড অনুশীলন শুরু করলেও টেস্ট সিরিজে খেলা হবে না চেন্নাই সুপার কিংসে খেলা কুরানের।
৪ মার্চ শুরু হতে চলা চতুর্থ টেস্টে যাতে খেলতে পারেন সেইমতো কুরানের ভারতে আসার কথা ছিল। কিন্তু হিথরো বিমানবন্দর থেকে আমেদাবাদের সরাসরি বিমান নেই। করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক সমস্যায় জেরবার ইসিবি-র পক্ষে শুধু একজন ক্রিকেটারকে চার্টার বিমানে পাঠানো অসম্ভব। সাধারণ বিমানে পাঠালে ওই বিমানের কেউ সংক্রমিত হয়ে পড়লে আরও সমস্যা। তাই ইসিবি ঠিক করেছে টি ২০ ও একদিনের সিরিজ খেলতে যে ক্রিকেটাররা ভারতে আসবেন তাঁদের সঙ্গে কুরানও আসবেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁরা যখন রওনা দেবেন ততদিনে তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা হয়ে যাবে। ভারতে এসে কোয়ারান্টিন-পর্ব কাটিয়ে তাই কুরানের পক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলা অসম্ভব। শ্রীলঙ্কা সফরে কুরান দুটি টেস্টে তিন উইকেট পেয়েছিলেন।
বেয়ারস্টো ও উডকেও ভারতে এসে দলের বায়ো বাবলে ঢুকতে হয়েছে বেশ ঘাম ঝরিয়েই। হিথরো যেতে চার ঘণ্টা। সেখান থেকে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা হয়, রেজাল্ট আসা অবধি তাঁদের সেখানেই অপেক্ষা করতে হয়। এরপর সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে তাঁদের চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয় বাসে করে। সাড়ে সাত ঘণ্টার বাসযাত্রা! সেখানেই বাধ্যতামূলক ৬ দিনের কোয়ারান্টিন কাটিয়েছেন তাঁরা। বেয়ারস্টোর কথায়, হোটেলের ঘরেও মুক্ত বাতাস ঢোকার সুযোগ ছিল না। তবু সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক থেকে এটা করতেই হচ্ছে। এ দেশে সমর্থকরা অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন, তবে আমাদেরও দূরত্ব মেনে থাকতে হচ্ছে। দিনের পর দিন হোটেলবন্দি থাকা মনের উপরও চাপ ফেলে।