কী বলছে আদালত?
উল্টে সদ্য দেওয়া রায়ে লালুপ্রসাদকে আরও দুমাস কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাতেই মূল সাজার সময়ের অর্ধেক সময় জেলে কাটিয়ে ফেলবেন লালু। তারপরেই তাকে পুনরায় জামিনের আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিচারকদের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর শারীরিক অসুস্থতার জন্য দীর্ঘ সময় রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (রিমস) এর ডাইরেক্টের নিজস্ব বাংলোতেই ছিলেন লালু।
২০১৭ সাল থেকেই জেল খাটছেন লালু
এদিকে বর্তমানে গত মাসে ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে জানা যায়। তখন তাকে ভর্তি করা হয় রাঁচি ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে। চিকিৎসকদের মতে, বর্তমানে তাঁর দুটি কিডনিই ঠিকমতো কাজ করছে না।এদিকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ২০১৭ সাল থেকে দুর্নীতির দায়ে এখনও অবধি কারাদণ্ড ভোগ করছেন অবিভক্ত বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ।
বিধানসভা ভোটের আগেও জামিনের আবেদন
এদিকে গত বছরের শেষেও বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন লালু। কিন্তু সেইবারও কোর্টে ধাক্কা খান তিনি। মকুব হয়নি আর্জি। এবার ফেব্রুয়ারির শেষেও বাতিল হল আর্জি। এদিকে ফেব্রুয়ারির শুরুতে শুনানি চলাকালীন সিবিআই-র তরফ থেকে হলফনামা দাখিলের জন্য এক সপ্তাহের সময় চাওয়া হয়।তার ভিত্তিতেই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিল আদালত।
একনজরে লালুর অপরাধের খতিয়ান
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুমকা কোষাগার মামলায় সরকারি কোষাগার থেকে ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে লালুর বিরুদ্ধে। এমনকী ১৯২২-৯৩ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন চাইবাসা জেলার সরকারি কোষাগার থেকে ৩৩.৬৭ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে। ওই মামলাতে আবার ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত লালু ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে দোষী সাব্যস্ত করে।