ওয়াশিংটন: মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার রোভার বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মঙ্গল গ্রহের মাটি ছুঁয়েছে। সফল ভাবে ল্যান্ডিং করেছে পারসিভিয়ারেন্স রোভার। কোনও গ্রহের মাটিতে ল্যান্ডিং করাই আসলে যে কোনও মহাকাশযানের পক্ষে সবচেয়ে দূরহ কাজ। আর নাসার এই মিশনে সেই কাজ সফল ভাবে করার পিছনে হাত রইল এক ভারতীয়-আমেরিকান নারীর। ড. স্বাতী মোহন। যিনি জন্মসূত্রে ভারতীয়। তাঁর হাতেই ছিল রোভার ল্যান্ডিং এর সবকিছু।

মঙ্গলে পাঠানো রোভারের গাইডেন্স, নেভিগেশন ও কন্ট্রোলস অপারেশন্স অর্থাৎ জিএনঅ্যান্ডসি এর প্রধান ড. স্বাতী মোহন। তিনি ও তাঁর টিম মিলে এই অপারেশনকে সফল করলেন।

রোভার লালগ্রহের রুক্ষ মাটিতে নামার পর নিজের উচ্ছ্বাস চেপে রাখেননি স্বাতী। তিনি জানান, “পারসিভিয়ারেন্স সফল ভাবে মঙ্গলের মাটিতে নেমেছে। এখন এটি প্রাণের সন্ধান করতে প্রস্তুত।”

যখন সারা বিশ্ব এই ল্যান্ডিং দেখতে উৎকণ্ঠিত, তখন স্বামী মোহন পুরো টিমের সঙ্গে কো-অর্ডিনেট করতে ও ল্যান্ডিং যাতে সফল হয় সেই জন্য অধীর আগ্রহে বসেছিল। সফল ল্যান্ডিং এর সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন নাসার সমস্ত বিজ্ঞানীরা হাঁফ ছাড়েন, সেই সঙ্গে স্বাতী মোহনের কারণে আমেরিকার সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহাসিক সাফল্যে যুক্ত হল ভারতের নামও।

ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার সময় বর্তমান নাসার বিজ্ঞানী ডঃ স্বাতীর বয়স ছিল মাত্র ১ বছর। তাঁর ছোটবেলা কেটেছে উত্তর ভার্জিনিয়া-ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রো এলাকায়। ৯ বছর থেকে তিনি ধীরে ধীরে মহাকাশের প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। ১৬ বছর বয়সে তিনি ঠিক করেন তিনি হবেন মহাকাশ বিজ্ঞানী। তবে সেই যাত্রাপথ খুব সোজা ছিল না। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল এয়রোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং্যে তিনি স্নাতক হন। অ্যাস্ট্রোনটিক্সে এমএস থেকে পিএইচডি পান।

নাসার রোভার ল্যান্ডিংটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল কারণ, এটি যেখানে ল্যান্ডিং করেছে তার নাম জেজেরো ক্র্যাটার (Jezero Crater)। এটি মঙ্গলের এমন একটি জায়গা যা মারাত্মক দুর্গম। এখানে রয়েছে গভীর উপত্যকা, সুউচ্চ পাহাড়, বালির টিলা এবং প্রচুর উঁচু নীচু পাথর, যা জায়গাটিকে অসমান করে তুলেছে। তাই এই এলাকায় আদৌ রোভার নামতে কতটা সক্ষম হয়, সেদিকে নজর ছিল সকলের। সেই কাজকেই সফল করে দেখালেন ভারতীয়-আমেরিকান নারী স্বাতী মোহন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।