সেরাদের সঙ্গে নেটে
জীবনে এখনও অবধি স্বীকৃত দুটি টি ২০ ম্যাচ খেলেছেন। এবারের সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০-তে মুম্বইয়ের হয়ে হরিয়ানার বিরুদ্ধে অভিষেকে ১ উইকেট পান, পুদুচেরি ম্যাচেও পেয়েছেন একটি উইকেট। এ ছাড়া কাউন্টিতে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের বিরুদ্ধে খেলেছেন মেরিলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব ইয়ং ক্রিকেটারস দলের হয়ে। তবে গত আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের নেট বোলার হিসেবে ছিলেন অর্জুন। ভারতীয় দলের নেটেও বল করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে অর্জুনের।
স্কিলের জন্যই নেওয়া
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হেড কোচ মাহেলা জয়বর্ধন সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন অর্জুন যাতে চাপের মধ্যে না পড়েন। তাঁর কথায়, স্কিলের কথা বিবেচনা করেই অর্জুনকে নেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটের প্রতি অর্জুন যথেষ্ট ফোকাসড। মুম্বই দলের হয়ে খেলার পর এবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ড্রেসিংরুমেও থাকবেন অর্জুন। সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে নিজেকে আরও উন্নত করার সুযোগ পাবেন। সচিন-পুত্র বলে তাঁকে ঘিরে মাতামাতি থাকবে, তবে প্রত্যাশার পারদ এখনই চড়বে না বলেও দাবি প্রাক্তন শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের। মাহেলা বলেন, সচিন-পুত্রের ট্যাগ থাকবে তাঁর সঙ্গে। তবে সচিন ব্যাটসম্যান, অর্জুন বোলার। আমার তো মনে হয়, অর্জুনের মতো বল করতে পারলে সচিনও গর্বিত হবেন।
অখ্যাত থেকে তারকা
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলে মজরে পড়ে উঠে এসেছেন অনেক তারকা। তাঁদের সামনে খুলে গিয়েছে জাতীয় দলের দরজা। জশপ্রীত বুমরাহ থেকে শুরু করে পান্ডিয়া ভাইদের নাম এক্ষেত্রে সামনের সারিতে। অর্জুন ছাড়াও র ট্যালেন্ট হিসেবে মুম্বই এবার দলে নিয়েছে আরেক তরুণকে। হায়দরাবাদের সেই পেসার যুধবীর সিংও ভবিষ্যতে জাতীয় দলের তারকা হতেই পারেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলাতেই তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, জাহির খানের তত্ত্বাবধানে তাঁরা নিজেদের আরও উন্নত করার সুযোগ পাবেন।
জাহিরের কথায়
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচিং স্টাফের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জাহির খান নিলামের আসরেও ছিলেন। তাঁর কথায়, বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিভাদের তুলে এনে তাঁদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ বরাবরই দিয়ে থাকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। স্কাউট রেখে এই প্রতিভা অন্বেষণের কাজকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম না হওয়ায় দলে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। অনামি প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়ার কাজ আমরা চালিয়ে যাব। অর্জুন দারুণ প্রতিভা। আবু ধাবিতে আমাদের দলের সঙ্গেও ছিলেন। নেটে তাঁকে সময় দিয়েছি, কিছু পরামর্শ দিয়েছি। আশা করি তার সুফল মিলবে। অর্জুনের বড় গুণ হলো কঠোর পরিশ্রম করতে পারা। সচিন তেন্ডুলকরের পুত্র এই প্রত্যাশার চাপ নিয়েই অর্জুনকে চলতে হবে। কজন তরুণ প্রতিভাকে নিয়ে এমন চর্চা হয়? তবে আমাদের শিবিরের যা পরিবেশ তাতে অর্জুন তাঁর ক্রিকেটীয় দক্ষতাকে আরও উচ্চতায় তুলে নিয়ে যেতে পারবেন। অর্জুনকে একজন সাধারণ তরুণ প্রতিভা হিসেবে দেখছি। খোলা মনে অর্জুন নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাবেন।