
কলকাতা: রানি ক্লিওপেট্রা দুধ দিয়ে স্নান করতেন এটা আমরা সকলেই জানি। গল্পের সত্যতা না জানলেও দুধ দিয়ে স্নানকে বাস্তবে বিলাসিতা মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আদৌ কি কোনো কার্যকারিতা আছে দুধের? রূপচর্চার সঙ্গে কোনো যোগ কি রয়েছে এর? বিজ্ঞান বলছে রয়েছে। একটা নয়, একাধিক ত্বক সংক্রান্ত সমস্যায় কামাল দেখায় দুধ। এটি কাঁচা অবস্থায় ও তার টক স্বাদ থাকলে ব্যবহার করা খুবই উপযোগী। তবে তা আপনি ত্বকের জন্যে ব্যবহার করবেন কিনা সেটা সম্পূর্ণ আপনার সিদ্ধান্ত।
১. ত্বকে বয়সের ছাপ পড়াটা খুব স্বাভাবিক। তাই একটা বয়সের পরবর্তী পর্যায়ে ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠে নানা অংশে। ভয় বা লজ্জা পাওয়ার দরকার নেই আর। আপনার কাছে আছে জাদুকরী উপাদান দুধ। এতে থাকা ল্যাকটিক এসিড বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে ও ত্বককে রাখে কোমল।
আরো পোস্ট- ২০২১-এর ফিটনেস ট্রেন্ড কোনগুলি জেনে নিন
২. আপনার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করা খুব দরকারি। এর ফলে ত্বকের মৃত কোষগুলি বেরিয়ে আসে ও ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। এক্ষেত্রে আপনি ত্বকে সরাসরি দুধ লাগাতে পারেন তুলো দিয়ে বা অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়েও লাগাতে পারেন।
৩. ধরুন আপনি খুব রোদের মুখোমুখি হয়েছেন। ঘুরতে গিয়ে বা কাজে গিয়ে এমনটা হলে আপনার ত্বক জ্বলতে থাকে, লাল লাল ফুসকুড়িও দেখা যায়। অর্থাৎ রোদের তাপে ত্বক পুড়ে গিয়েছে। দুধে থাকা ল্যাকটিক এসিড সেই সান ট্যানের ও রোদে হওয়া এলার্জির মোকাবিলা করতে পারে। ঠান্ডা দুধ তুলোয় নিয়ে মুখের যে অংশগুলো পুড়ে গিয়েছে সেখানে চিপে চিপে লাগান।
৪. স্কিনকে ময়েসচারাইজ করতে হলে কোনো ক্রিম লাগবে না যদি আপনি লাগান দুধ। বিভিন্ন ফেস প্যাকে আপনি দুধ মিশিয়ে সেটাকে ময়েসচারাইজার হিসেবে লাগান। এতে স্কিন শুষ্ক হবে না। শীতকালে এটা নিয়মিত ব্যবহার করবেন।
৫. এতে প্রচুর ভিউটামিন থাকায় এটি একনে অনেকাংশে দূর করতে পারে। কাঁচা দুধ এক্ষেত্রে উপযোগী। এটি ত্বকের নোংরা ও তেলভাব সরিয়ে দেয়। আপনি আপনার মুখ ধুয়ে কাঁচা দুধ লাগান তুলোয় নিয়ে। একনে অনেক কমে যাবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.