নয়াদিল্লি: শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে ফের কিছুটা বাড়ল সংক্রমণ। অন্যদিকে তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা খানিকটা কম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল অবধি দেশে করোনা আক্রান্ত হলেন ১৩ হাজার ১৯৩ জন। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র ১০ হাজার ৮৯৬ জন। অন্যদিকে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের।
দেশে এখন অবধি মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৯ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৯৪ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৪১ জন। দেশে করোনার জেরে মোট মৃত্যু মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১১১ জনের।
দেশজুড়ে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৪২ জন। মোট ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭ জনকে।
অন্যদিকে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় সপ্তাহের শেষের দুদিন লকডাউন জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা ছাড়া আর কোনও পরিষেবা চালু না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। শনিবার রাত আটটা থেকে সোমবার সকাল সাতটা পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে গোটা জেলা জুড়ে। বন্ধ থাকবে সব প্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল, শপিং মল, রেস্তোঁরা, বাজার। জেলা কালেক্টর শৈলেশ নাভাল জানান, জেলায় ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেদিকে নজর রাখলে লকডাউন জারি রাখার সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক। করোনা বিধি কড়া ভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে যে কোনও রকম বিনোদনমূলক কার্যকলাপ, সুইমিং পুল, ইনডোর গেমস বন্ধ রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে ও উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তিনি জানান যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে লকডাউনের ঘোষণা করা ছাড়া উপায় ছিল না।
এদিকে, ভারতে থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাসের আরও দুটি নতুন স্ট্রেন। নতুন করে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পর্যটকদের জন্য নতুন গাইডলাইন এনেছে কেন্দ্র। নতুন এই গাইডলাইন সমস্ত আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য লাগু হবে। এই তালিকায় থাকছে ব্রিটেন, ইউরোপ ও মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির যাত্রীরাও। এর পাশাপাশি দেশের মধ্যেও জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.