ফের হুঁশিয়ারি টিকাইতের
এমনকী আন্দোলনের ধারা বজায় রাখতে প্রয়োজনে কৃষকরা এক মরসুমের ফসলের মায়া ত্যাগ করার জন্যও প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে আসন্ন চাষের মরসুমে আন্দোলনের বহমানতা নিয়ে জল্পনা উড়িয়ে তিনি বলেন, " এই ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের কোনও ভুল ধারণা থাকা উচিত নয়। কেউ যদি মনে করে দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে জড়ো হওয়া প্রতিবাদী কৃষকরা ফসল তোলার জন্য ফিরে যাবেন তবে তা ভুল।"
প্রয়োজনে ফসল পোড়াবে কৃষকরা
এমনকী সরকার যদি প্রতিবাদী কৃষকদের নিজভূমে ফিরে যেতে জোর দেয় তবে তার প্রতিবাদে প্রয়োজনে কৃষকরা ফসলে আগুন ধরিয়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাকেশ টিকাইত।অন্যদিকে আগামীতে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ানোর জন্য আন্দোলরত কৃষকদের প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন তিনি। কৃষক ইউনিয়ন গুলির তরফে নির্দেশ মেলা মাত্রই যাতে তারা পরবর্তী কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন তার জন্য তৈরি থাকার কথাও বলেন তিনি।
ক্রমেই বাড়ছে আন্দোলনের তেজ
মোদী সরকারকে নিশানা করে টিকাইতে স্পষ্টতই হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, আইন বাতিলের পরিবর্তে সরকার যদি কৃষকদের বিক্ষোভের অবসান ঘটাতে জোর দেয়, তবে এবার ফসলও পোড়াবে কৃষকরা। এদিকে ইতিমধ্যেই তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্ঘু, টিকরি সহ দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে কেন্দ্র আরোপিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন লক্ষ লক্ষ কৃষক। কিন্তু কৃষকদের দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্র। এমতাবস্থায় টিকাইতের হুঁশিয়ারি বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মহাপঞ্চায়েত হবে তামিলনাড়ু, গুজরাতেও
এদিকে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বাংলার পাশাপাশি হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে গোটা দেশেই কৃষক পঞ্চায়েতেরও ডাক দেন তিনি। মহাপঞ্চায়েত হবে তামিলনাড়ু, গুজরাতেও। এদিকে আর কয়েক মাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বাংলা, তামিলনাড়ুতে। এদিকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কৃষকি আইনের বিরোধীতা করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল-কংগ্রেস। এদিকে রাকেশ টিকাইতের পরবর্তীতে কর্মসূচিতে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতেও যে বড় ছাপ পড়তে চলছে, এমনকী চাপ বাড়তে চলছে পদ্ম শিবিরের উপর, তা বলাই বাহুল্য।