ওয়াশিংটন : মঙ্গলের মাটি ছুঁল নাসার স্বপ্নের মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স। তৈরি হল ইতিহাস। যাবতীয় প্রতিকূলতা কাটিয়ে মঙ্গলের বুকে সফল অবতরণ করল মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স। শুক্রবার ভারতীয় সময় রাত ২.২৫ মিনিটে মঙ্গলে নামে এই মহাকাশযান। যে মুহুর্তে রেডিও সিগন্যাল নিশ্চিত করে এই সাফল্যের খবর, তৎক্ষণাৎ উল্লাসে ফেটে পড়েন নাসার বিজ্ঞানীরা।

নাসার পক্ষ থেকে মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্সের সফল অবতরণের পরে একটি ট্যুইট করা হয়। সেখানে বলা হয় Hello, world. My first look at my forever home.

Hello, world. My first look at my forever home. #CountdownToMars pic.twitter.com/dkM9jE9I6X

— NASA’s Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) February 18, 2021

এই পারসিভিয়ারেন্সে রয়েছে একটি ল্যান্ডার ভিশন সিস্টেম, রয়েছে টেরেন রিলেটিভ নেভিগেশন। পারসিভিয়ারেন্সের যাত্রাই ২০২০ সালে নাসার সর্বাধিক বড় মিশন ছিল। এই মঙ্গলযানে রিয়েল টাইম ছবি তুলে রাখার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র রয়েছে। মঙ্গলযানটির মধ্যে থাকা সফটওয়্যার এই রোভারকে পছন্দমত স্থান নির্বাচন করে নামতে সাহায্য করেছে। উঁচু নীচু অসমতল, কোথাও খাড়াই পাহাড়। এরই মাঝে অবতরণ করতে হয়েছে নাসার স্বপ্নের মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্সকে। অবতরণ নিরাপদ ও মসৃণ না হলে, এতদিনের পরিশ্রম ও প্রতীক্ষা মাটি হয়ে যেত।

নাসা জানিয়েছিল মঙ্গলে ‘জেজোরো ক্রেটার’ এলাকায় নামতে চলেছে নাসার সাধের মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স। এলাকাটার আয়তন ২৮ মাইলেরও বেশি। ওই গোটা এলাকাই জেজোরো ক্রেটার নামে পরিচিত। এই জায়গাটি বেশ কয়েক কোটি বছর আগে কোনও সুবিশাল আগ্নেয়গিরির জন্য ওই বিশালাকার গর্ত বা ক্রেটার তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এলাকাটি ভর্তি খুব উঁচু উঁচু পাহাড়ে। সমতল সেখানে খুবই কম। ৩০০ কি ৪০০ মিটার অন্তর সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।

তাই অবতরণের জন্য প্রয়োজন ছিল অসম্ভব দক্ষতার। নিখুঁত টাইমিং ও সঠিক স্থান নির্বাচন এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়ে ছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। নামার আগে থেকে খুব নিখুঁত ভাবে জায়গাটাকে চিনতে বুঝতে না পারলে যে কোনও সুউচ্চ পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ভেঙে পড়তে পারে নাসার ল্যান্ডার ও রোভার। এমনকি তা পাহাড়ের খাঁজে আটকে গিয়ে বিকল হয়ে যেতে পারে মুহুর্তে। তবে সব বিপদ কাটিয়ে ইতিহাস গড়েছে পারসিভিয়ারেন্স।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।