৮০ শতাংশের উপর বেড়েছে কাজের চাহিদা, মন্দাকালে গ্রামীণ অর্থনীতিকে দিশা দেখাচ্ছে ১০০ দিনের কাজ

গত বছরের শেষার্ধ থেকে গোটা দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করার পরেই গ্রামীণ এলাকায় বেড়েছে কাজের চাহিদা। এমনকী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রেগুলির হাল ফেরায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে অর্থনীতির চাকা। এমতাবস্থায় গোটা দেশকেই নতুন করে আশা দেখাতে শুরু করে সরকারের মনরেগা বা একশো দিনের কাজের প্রকল্প।

প্রতিমাসে ২ কোটি পরিবার উপকৃত

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকে প্রতিমাসে গড়ে ২ কোটি পরিবার এই কাজের সুবিধা পেয়েছে। যদিও কাজের চাহিদা থাকলেও নতুন করে কাজ পাননি অনেক পরিবারের সদস্যরাই। পরিসংখ্যান এও বলছে শেষ দুমাস বা সহজ কথায় গত ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে গোটা দেশে কাজ পাওয়া পরিবারের সংখ্যা গত বছরের অগাস্ট, সেপ্টেম্বরের সমান। যদিও মনে রাখতে হবে সেই সময় গোটা দেশে কার্যত চোখ রাঙাচ্ছে মারণ করোনা।

উপকৃত হয়েছেন সাড়ে ১০ কোটি মানুষ

সূত্রের খবর, চলতি অর্থবর্ষে ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত গোটা দেশের ৭.১৭ কোটি পরিবার( ১০.৫১ কোটি ব্যক্তি) এখনও পর্যন্ত মনরেগা কাজের প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। যা এখনও পর্যন্ত নতুন রেকর্ড বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২০০৬ সালে প্রথম এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর প্রথম এই বিশাল পরিমাণ মানুষ একবছরে এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছিল। তারপর আবার ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সেই রেকর্ড ছুঁল।

পরিযায়ী সঙ্কটের কারণেও বেড়েছে কাজের চাহিদা

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা লকডাউনের জেরে সবথেকে খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন গুজরান করতে হয় দেশের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের। এমনকী কাজ হারিয়ে কার্যত পথে বসেন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। আর ঠিক সেই সময় বিভিন্ন রাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে তারা নিজ গ্রামে এলে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে।

৮০ শতাংশের উপর বেড়েছে কাজের চাহিদা

এমনকী পরিসংখ্যান এও বলছে গত বছর জুনে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজের চাহিদা ২০১৯ সালের জুনের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ওই সময়ে গোটা দেশে মোট ৩.৮৯ কোটি পরিবার এই কাজ কাজের সুবিধা নেয়। এমনকী ২০২০ সালের জুলাই মাসেও ২.৭৫ কোটি পরিবার এই কাজের সুবিধা নেয়, যা ২০১৯ সালের জুলাই মাসের কাজের চাহিদার থেকে ৮৩ শতাংশ বেশি।

এসে গেল কো-উইন অ্যাপের নয়া সংস্করণ, টিকাকরণে জটিলতা এড়িয়ে সহজেই করা যাবে রেজিস্ট্রেশন

More ECONOMY News