বাঁকুড়া: বাম ছাত্র যুব সংগঠনে ডাকে নবান্ন চলো কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্যার বাড়িতে এলেন বামপন্থী নাট্যব্যক্তিত্ব, অভিনেতা বাদশা মৈত্র। বৃহস্পতিবার তিনি কোতুলপুরের চোরকোলা গ্রামে মইদুলের বাড়িতে এসে দেখা করেন, কথা বলেন তার স্ত্রী, বৃদ্ধা মা, সন্তান সহ অন্যান্যদের সঙ্গে।
বাদশা মৈত্র বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। মইদুলের পরিবারের পাশে আমরা সবাই আছি। তিনি বলেন, এরাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ হোক। একই সঙ্গে ‘খুনের রাজনীতি’ যারা করবে তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে না থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মৃত বাম সমর্থক মইদুলের বাড়িতে এসে আগেই রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। তিনি আগেই জানিয়েছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে’,যোগ্য জবাব বাংলার ছাত্র যুবরা দেবে। মইদুল কোনও মন্ত্রীর চেয়ার কাড়তে বা নবান্ন দখল করতে যায়নি। সে সংবিধান স্বীকৃত অধিকারের দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়েছিল। একই সঙ্গে ‘খুন করে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবেনা’ দাবি করেন সুশান্তবাবু।
প্রাক্তন মন্ত্রী ও পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ আরও বলেন, বামপন্থীদের খুন করে কোথাও আন্দোলন দমিয়ে রাখা যায়নি। আর ওই দিন যা ঘটেছে তার যোগ্য জবাব বাংলার ছাত্র যুবরা দেবেন।
নবান্ন চলো কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে কোতুলপুরেরর চোরকোলা গ্রামের মইদুল আলি মিদ্যার মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বাম-কংগ্রেস। দুই রাজনৈতিক দল ও তাদের গণ সংগঠনের সদস্যরা বাঁকুড়া সদর থানার সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার নবান্ন চলো’র ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র যুব সংগঠন গুলি। পুলিশের তরফে বাম যুব কর্মীদের আটকানোর জন্য ব্যারিকেড তৈরি করে। এমনকি যথেচ্ছ লাঠিচার্জ, জলকামান, কাঁদানে সেল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর ঐ ঘটনায় আরো অনেকের সঙ্গে গুরুতর আহত হন কোতুলপুরের মইদুল ইসলাম মিদ্যাও।
প্রথমে তাকে সিপিআইএম নেতা ফুয়াদ হালিমের নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.