মমতার কর্মিসভায় অনুপস্থিত দেবশ্রী
পৈলানে মমতার কর্মিসভায় দেখা গেল না একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ও সাংসদকে। ছিলেন না দেবশ্রী রায়, মিমি চক্রবর্তী, জীবন মুখোপাধ্যায়, সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। দেবশ্রী রায় ছাড়া সকলেই কেন আসতে পারেননি তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি। মিমি চক্রবর্তী কলকাতায় নেই তাই তিনি যেতে পারেননি। জীবন মুখোপাধ্যায় অসুস্থ তাই যেতে পারেননি। প্রতিমা মণ্ডলের বাড়িতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেকরণে তিনি যেতে পারেননি।
অনুপস্থিত দেবশ্রী
দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে রাজনীতির ময়দানে দেখা যাচ্ছে না। একুশের ভোট এগিয়ে এলেও দেবশ্রীকে দলের হয়ে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। নিজের এলাকা রায়দিঘিতেও দেখা যাচ্ছে না দেবশ্রী রায়কে। তারপরে পৈলানে খোদ দলনেত্রীর কর্মিসভাতেও দেখা গেল না দেবশ্রী রায়কে। এই নিয়ে জল্পনা পারদ চড়েছে।যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন দেবশ্রী রায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
অবস্থান স্পষ্ট করুন দেবশ্রী
তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে নিয়ে ক্ষোভের সুর শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর কণ্ঠে। দেবশ্রী রায়কে পৈলানের কর্মিসভায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে শুভাশিস চক্রবর্তী বলেছেন আগে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুন দেবশ্রী। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিতে যাওয়ার দিন দেবশ্রী রায়ও হাজির হয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে বিজেপির পার্টি অফিসে। যদিও বিজেপির কোনও নেতা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না চাওয়ায় ফিরে আসেন তিনি।
কোন দিকে দেবশ্রী
তৃণমূল না বিজেপি কোন দিকে রয়েছেন দেবশ্রী। এই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সম্প্রতি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে দেবশ্রীর। শোভন বৈশাখীর নামে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। রায়দিঘিতে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দেবশ্রীকে জেতানোর মূল কারিগর ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাই শোভন যখন বিজেপিতে যোগ দিতে যান তখন তাঁর পিছন পিছন বিজেপি পার্টি অফিসে ছুটে গিয়েছিলেন দেবশ্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে যোগ দিতে পারেননি তিনি।