মমতাকে বার্তা
একেবারে নজিরবিহীন ভাবেই রাজ্য সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন দীনেশ ত্রিবেদী। দলে তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছে অভিযোগ করেন। কথা বলার জায়গা নেই। কেউ কথা শুনতে চান না। অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়েই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন। দীনেশের এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দলনেত্রীকে দেওয়া একটি বার্তা লুকিয়ে ছিল বলে দাবি করেছেন রাজ্য সভার সাংসদ। তিনি বলেছেন,এখনও শুধরে যান। এই বার্তাই তিনি মমতাকে দিতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
কোম্পানি চালাচ্ছে দল
তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দীনেশ অভিযোগ করেছিলেন এখন আর দলের রাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই। কোম্পানি চালাচ্ছে দল। অন্যান্য একাধিক দলবদলী নেতাদের মতোই নিজের দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের সপক্ষে পিকে যুক্তি সাজিয়েছিলেন দীনেশ। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তের পিছনে যে সুপরিকল্পিত রণকৌশল রয়েছে সেটা নিয়ে জল্পনা পারদ চড়িয়েছে। বিেজপির হয়ে রাজ্যে সভার আসনে আসতেই এই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দীনেশ এমনই মনে করছে রাজনৈিতক মহল।
ছিঁকে ছেড়েনি দীনেশের
গুজরাতের দুটি রাজ্যসভা আসনকে টার্গেট করেই মোক্ষম সময়ে দীনেশ দল ছেড়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছিঁকে ছেড়েনি। দীনেশের বদলে গুজরাতের দুই নেতাকে সেই আসনে মনোনিত করেছে বিজেপি। তারপর থেকে দীনেশের বিজেপিতে যোগদান দোলাচলে রয়েছে। অর্থাৎ বলতে গেলে এখনও ডিল ফাইনাল হয়নি বিজেিপর সঙ্গে। গেরুয়া শিবির তাঁকে কোন আশা দেবে সেটাই অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে। সেকারণেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি কথাও বলতে চাননি দীনেশ ত্রিবেদী।
মোদী বন্দনা দীনেশের
রাজ্যসভায় দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করার আগের দিনই প্রধানমন্ত্রীর গুণগান শুরু করেছিলেন দীনেশ। টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার ভূয়ষী প্রশংসা করেন দীনেশ। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পরেও বিজেপির গুণগান বজায় রেখেছেন তিনি।বিজেপি দেশের সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈিতক দল দেশের উন্নয়নে কাজ করছে মোদী সরকার। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে এখনও তিনি সম্মান করেন বলে জানাতেও ভোলেননি।