স্টাফ রিপোর্টার, পৈলান: রাজ্যের মহিলাদের সামনে রেখে একুশের নির্বাচন লড়তে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপিকে রুখতে বারবার মহিলাদের এগিয়ে আসতে বলছেন তিনি৷ বৃহস্পতিবার পৈলানের কর্মীসভায় থেকে আরও একবার বাংলার নারী বাহিনীকে বিজেপিকে রোখার দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিন মমতা রাজ্যের মহিলা ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে বলেন, বাড়িতে গেলে কান মুলে দেবেন মা-বোনেরা। ছবি তুলে রেখে দেবেন। কী করবে? মারলে না হয় কথা ছিল কান মুললে কী আর থানা–পুলিশ করবে? কোনও কেস হবে না৷ উল্লেখ্য, এদিনই দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই অমিত শাহ বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে৷
পৈলানের সভায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আক্রমণ করে মমতা আরও বলেন, প্রতিদিন বাংলায় এসে ভূরি ভূরি মিথ্যে বলে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী কে করেছে। দুয়ারে সরকারে ১৮ লক্ষ মানুষকে জাতের শংসাপত্র দিয়েছি আমরা। নিজেদের রাজ্যে কী করেছো? কতদিন ধরে কৃষকরা পড়ে রয়েছেন। পঞ্জাবে হয়েছো সাফ, উত্তরপ্রদেশে সাফ, হরিয়ানায় সাফ, ত্রিপুরাতেও সাফ আর বাংলায় যে কতটা সাফ হবে ভাবতেও পারবেন না। বিকল্প থাকলে অসমেও সাফ হয়ে যেতে
কিছুদিন আগে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাকে এর আগে ‘নাড্ডা, ফাড্ডা, চাড্ডা, গাড্ডা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘নাদুস-নুদুস, ফানুস-ফানুস, ফাটুস-ফুটুস চেহারা’ বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী । অমিত শাহের নাম না করে এর পরেই তাঁর চেহারা নিয়ে কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, ‘‘অত ফোলা ফোলা চেহারা, বেশ নাদুস-নুদুস, সুন্দর-সুন্দর দেখতে, ফানুস-ফানুস চেহারা, ফাটুস-ফুটুস চেহারা, আমাদের মতো এসে লড়াই করো! যাও গিয়ে বাড়িতে বাসন মাজো। যাও গিয়ে ঘর মোছো। যাও গিয়ে ডান্ডার সঙ্গে লড়াই করো। যাও গিয়ে বন্দুকের সঙ্গে লড়াই করো। গুলি বন্দুকের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছি মনে রাখবেন।’’
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেছেন,’’ওরা বলছে দুর্গাপুজো করতে দেন না মমতা। এমনি এমনি ক্লাবগুলো ৫০ হাজার টাকা করে পাচ্ছে! ওদের নেতারা তো দুর্গা কে তা-ই জানে না। খালি বড় বড় কথা। হিন্দু ধর্ম! আমাদের হিন্দু ধর্ম শেখাবেন? আমরা কেউ হিন্দু নই? কান ধরে হিন্দু ধর্ম শিখিয়ে দিতে পারি আমরা। চোরের মায়ের বড় গলা। সবচেয়ে বড় চোর, তার আবার বড় গলা।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.