চেন্নাই: চতুর্দশ আইপিএলের মিনি অকশানে যে সকল ভারতীয় ক্রিকেটারের দিকে নজর ছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম তামিলনাড়ুর বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান শাহরুখ খান। আর বিধ্বংসী দক্ষিণী ব্যাটসম্যানকে ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় কিনে নিল প্রীতি জিন্টার পঞ্জাব কিংস। গতবছর নিলামে তাঁর নাম থাকলেও ব্রাত্য ছিলেন শাহরুখ। কিন্তু চতুর্দশ আইপিএলে তামিলনাড়ুর ঘরোয়া ক্রিকেট তারকার দল পাওয়ার যে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, এদিন তাতেই সিলমোহর পড়ল।
লকডাউন পরবর্তী সময় সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ টুর্নামেন্ট দিয়ে ঢাকে কাঠি পড়েছিল দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে। আর সেই টুর্নামেন্টেই ব্যাট হাতে সাড়া জাগিয়েছিলেন শাহরুখ। সেমিফাইনালে ২৫ বছরের শাহরুখের ১৯ বলে ঝোড়ো ৪০ রানের ইনিংসে ভর করেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে তামিলনাড়ু।
এরপর বরোদার বিরুদ্ধে মেগা ফাইনালেও ৭ বলে অপরাজিত ১৮ রানের দুরন্ত ক্যামিও ইনিংস আসে শাহরুখের ব্যাট থেকে।বৃহস্পতিবার নিলামে প্রীতির পঞ্জাবের সঙ্গে শাহরুখকে দলে নেওয়ার লড়াইয়ে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরও। কিন্তু ৫৩ কোটিরও বেশি অর্থ নিয়ে নিলামে বসা পঞ্জাব শেষ পর্যন্ত শাহরুখকে দলে নিতে সফল হয়।
তামিলনাড়ুর হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ৩১টি টি২০ ম্যাচে এখনও অবধি ২৯৩ রান সংগ্রহ করেছেন শাহরুখ। এছাড়া তামিলনাড়ুর হয়ে ২০টি লিস্ট-এ এবং ৫টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচও খেলেছেন তিনি।
শাহরুখ ছাড়াও এদিনের নিলামে প্রীতির পঞ্জাব কিংস চমকের পর চমক দিয়ে চলেছে। ১৬.২৫ কোটি টাকায় আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক দামি ক্রিকেটার হিসেবে প্রোটিয়া অল-রাউন্ডার ক্রিস মরিসকে দলে নিয়েছে তারা। এছাড়া বিগ ব্যাশে দারুণ সফল দুই অজি ফাস্ট বোলার ঝাই রিচার্ডসন এবং রিলে মেরেডিথকে তুলে নিয়ে বোলিংশক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে প্রীতির দল।
২০২১ বিবিএলে ২৯ উইকেট নেওয়া পার্থ স্কর্চার্স তারকা ঝাই রিচার্ডসনকে ১৪ কোটি টাকায় দলে নিয়েছে পঞ্জাব কিংস। আর রিলে মেরেডিথ পঞ্জাবে বিক্রি হলেন ৮ কোটি টাকায়। এছাড়া এদিনের নিলামে উল্লেখযোগ্যভাবে ১৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের জালে ধরা দিয়েছেন পঞ্জাবের প্রাক্তনী গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৫ কোটি টাকায় আরসিবি কিনে নিয়েছে কিউয়ি অল-রাউন্ডার কাইল জেমিসনকে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.