পরিবর্তন আসবেই
এদিন নামখানার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পরিবর্তন এবারে আসবেই। তিনি অভিযোগ করেন, তোলাবাজ ভাইপোর অত্যাচারে শুধু তিনি কিংবা অন্যরাই নন, ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদারও ভুক্তভোগী। তিনিও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা ধরেছেন। তাঁদের পূর্ব মেদিনীপুরের মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষও পরিবর্তন চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন তাঁর সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে।
নির্বাচন হয়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে, তাঁরা এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন তো। কেননা গত কয়েকটি নির্বাচনে রাজ্যের কয়েকটি জায়গার মতো ভুক্তভোগী দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার মানুষরাও। কেননা তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তাই এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে মাননীয়াকে বুঝিয়ে দিন প্রতিবাদ জানিয়ে। তিনি অভিযোগ করেন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে জেলাপ্রশাসনকে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ম্যানেজ করে ডায়মন্ড হারবারের চারশো বুথ লুট করা হয়েছে। ১২০০ বুথে হারলেও ৪০০ বুথ লুট করে তিনলক্ষ ভোটে জিতেছে ভাইপো।
গুষ্টিশুদ্ধ আম্ফানের টাকা লুট করেছে
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আম্ফান হয়ে যাওয়ার পরে ২০ হাজার করে টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কতজন সেই টাকা পেয়েছেন, প্রশ্ন করেন শুভেন্দু। নিজেই বলেন, কেউ পাননি। সেই টাকা তৃণমূলের নেতারা লম্ফ জানিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে লুট করেছে। পরে চাপে পড়ে রাজ্য সরকার দেয় ৫ হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতারা বাড়িতে গরু না থাকা সত্ত্বেও গরুর নাম করে ৩০ হাজার করে টাকা নিয়েছে। এদিন তিনি বলেন, এমপির অফিস থেকে পুলিশকে ফোন করা হচ্ছে। ফোন করছে জাহাঙ্গিত, শওকত মোল্লারা।
চায়ের দোকানে পাউচ
কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এখন তো চা ও পানের দোকানে পাউচ পাওয়া যায়, ২০ টাকা করে। এটাই দিদিমনি দিয়েছে। মোদীজির উজ্জ্বলা গ্যাসকে তৃণমূলের মাতব্বররা নিজেদের বলে চালাতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন, লকডাউনের সময় মোদীজির পাঠানো রেশন সবাই পেয়েছেন কিনা। সেই সময় হিন্দু, মুসলমান ভেদাভেদ করা হয়নি। তাই বিজেপি হিন্দুদের দল, এই প্রশ্ন কেন উঠবে। কটাক্ষ করে তিনি ৫ টাকার ডিমভাত প্রসঙ্গে বলেন, লকডাউনে চাল চুরি করে রেখেছিল, সেই চাল দিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, লুকিয়ে প্রাইমারির অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন ডিমভাত চলবে না, চাকরি চাই।
বাকি আছে কাশ্মীর
এদিন শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন মোদী সরকার সারা দেশে উচ্চবর্ণের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য আলাদা সংরক্ষণ চালু করেছিলেন। কিন্তু তা বাংলায় চালু হয়নি কেন। তিনি বলেন, সরকারি কর্মীদের ডিএ নেই, পুলিশের রেশন নেই আর তৃণমূলের ভোট নেই। তিনি বলেন, কলকাতা লন্ডন হয়েছে, দার্জিলিং সুইৎজারল্যান্ড হয়েছে এবার বাকি আছে কাশ্মীর। এবার তৃণমূল ক্ষমতায় এলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মতো অবস্থা হবে রাজ্যের মানুষের। কটাক্ষ করে তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা রাজ্যে বহিরাগত আর রোহিঙ্গাদের বাংলায় জামাই আদর করে রাখা হয়। এটাই বাংলার অবস্থা। তিনি প্রশ্ন করেন, কেউ কি চান বাংলাটা বাংলাদেশ হয়ে যাক। তিনি বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় না থাকলে আমাদের ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশে থাকতে হতো।