শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : ২০১৩ সালে বামপন্থী ছাত্র নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর আন্দোলন করতে গিয়ে মৃত্যুর কথা সবার জানা আছে। ২০২১ এ আবার সেই বামপন্থী যুব কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু হলো পুলিশের লাঠির আঘাতে আঘাতে । এটা বামপন্থী তথা সিপিএম-এর অভিযোগ। তবে এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ্য থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

তবে ২০১৩তে সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর পর কিন্তু মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করতে এগিয়ে এসেছিল। কমিশন যে রিপোর্ট সেদিন দিয়েছিল তাতে বলা ছিল আন্দোলনকারীদের বাসে করে আলিপুর জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে থাকা সুদীপ্তর মাথা লাইট পোস্টে ধাক্কা খায়। যিনি বাস চালাচ্ছিলেন তাঁর লাইসেন্স ছিল না। কমিশন বলেছিল এই মৃত্যুর দায় সেই চালকের। মানবাধিকার কমিশনের সেই সময়কার চেয়ারম্যান অশোক গাঙ্গুলী এই রায় দিয়ে মৃত সুদীপ্তর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলে , কিন্তু সরকার সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি।

তবে মইদুলের মৃত্যুর পর এখনও পর্যন্ত মানবাধিকার কমিশন এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। রাজ্যের বিভিন্ন সমাজ কর্মী ও আইনজ্ঞরা বলছেন, মানবাধিকার কমিশন নিজে থেকেই মইদুলের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করতেই পারে, কেন করছে না সেটাই অবাক হওয়ার মতো ঘটনা।

এই প্রসঙ্গে সমাজকর্মী মন্দাক্রান্তা সেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, “মানবিধাকার কমিশন শুধু কেন? প্রশাসন, শাসক কেউই এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। অথচ এতো বড় একটা ঘটনায় একজন প্রাণ হারালেন, শহীদ হলেন, তাতে কারও কিছুই কিছু যাচ্ছে আসছে বলে মনে হয়না। অবশ্য বামপন্থীরা তাদের একজন কর্মীকে হারালেন। সেটা তারা বলছেন। মানবাধিকার কমিশন যে কিছু করবে না সেই প্রত্যাশা ছিলই । তারা এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। আশা করবো মানবাধিকার কমিশন কদিনের মধ্যেই এই বিষয়টায় হস্তক্ষেপ করবে। যদিও মইদুলের মৃত্যুর কারণ খুব স্পষ্ট। কমিশন চাইলে নিজে থেকেও এর জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করতে পারে। এই মুহূর্তে মানবধিকার কমিশন কিছু বলবে না সেটাই প্রত্যাশিত।”

আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “মানবাধিকার কমিশনের এটা হল অমানবিক মুখ। দীর্ঘদিন ধরেই কমিশনের এই ভূমিকা আমরা দেখছি। কমিশন যেন সবেতেই হাত-পা গুটিয়ে বসে রয়েছে। একটা সাংবিধানিক সংস্থার কাছে এটা কাঙ্খিত নয়।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।