দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের পর ভাষণ অমিত শাহের
এদিন নির্দিষ্ট সময়ের বেশ কিছুটা পরে কপিলমুনির আশ্রমে পৌঁছন অমিত শাহ। সেই মতো নামখানার সভায় তাঁর পৌঁছতেও তাঁর দেরি হয়ে যায়। তবে সেই সময় ভাষণ দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনের সভা থেকে অমিত শাহ বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারীর নাম আলাদা করে উল্লেখও করেন।
বক্তব্য রাখতে উঠেই 'বাধা'
এদিন অমিত শাহ বক্তব্য রাখতে উঠেই তাম থামিয়ে দিতে বাধ্য হন। অমিত শাহের বক্তব্য রাখার সময়েই বেশ কয়েকজন মহিলা বাঁশের ব্যারিকেড উপেক্ষা করে কালো পতাকা দেখাতে থাকেন। তাঁদের কালো পতাকার নিচে লেখা ছিল কৈখালী শিক্ষক সমিতি। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। তাঁদের সভাস্থলের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মমতাকে কটাক্ষ অমিত শাহের
বিষয়টি নিয়ে অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। তিনি এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এসব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারসাজি। বিক্ষোভ দেখানে মহিলাদের তিনি (মমতা) সামনে ঠেলে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ। প্রসঙ্গত এদিন পৈলানের কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মেয়েদের সামনে রেখে লড়াই হবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে খুন্তি নাড়িয়ে দেবে।
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় বিক্ষোভ কি নিরাপত্তায় গাফিলতি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। এর আগে ডিসেম্বরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার পথে কনভয় আক্রান্ত হয়েছিল শিরাকোলে। সেই সময় নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তী সময়ে রাজ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সফরে নিরাপত্তা আরও আঁচসাঁট করা হয়।
মমতার সভাতেও বিশৃঙ্খলা
এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সভায় প্রায় একই ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছিল। পুরুলিয়ায় মমতার সভায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন তাঁদের দাবি জানান। যা নিয়ে মেজাজ হারিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাম্প্রতিক কালে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে দলের এসসিএসটি কর্মিসভায় একই ধরনের বিক্ষোভে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সভায় এসে কিছু চাওয়া যায় না। পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের সভায় লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।