শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত: আজ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় অমিত শাহ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাই ভোল্টেজ জনসভা রয়েছে। এই দুটো সভার একটি অমিত শহর সভা, সেটা হবে নামখানায় হবে। দ্বিতীয় সভা হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানে। এই নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ সারা রাজ্যে উত্তেজনার প্রহর গুনছে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক নেতারা। এই কঠিন পরিস্থিতি কী ভাবে সামলাবে পুলিশ সেটাই এখন দেখার।এদিকে ডায়মন্ড হারবারে অমিত শাহের সভায় যাওয়ার পথে অমিত শাহের নাম ও বিজেপি বিরোধী পোস্টার পড়েছে।

ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে অমিত শাহের সভার দিন পৈলানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ডাকার সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে তৃণমূল চাইছে ইচ্ছাকৃতভাবে অমিত শাহের সভায় যাতে মানুষ আসতে না পারে সেই জন্য পৈলানে তৃণমূলের সভা ডাকা হয়েছে। তবে তৃণমূলের তরফে বিজেপি-র এই অভিযোগ খারিজ করে বলা হয়েছে, কোনও অবস্থাতেই তৃণমূল কারও সভায় সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য পৈলানে সভা ডাকেনি। তৃণমূলের এই সভা পূর্ব নির্ধারিত।

এদিকে পুলিশ প্রশাসনের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ও পৈলানের সভা ঘিরে যাতে কোনও রকম উত্তেজনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেই জন্য কঠোর ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন আসছে জে পি নাড্ডা যখন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সভা করতে এসেছিলেন সেদিন আমতলা সংলগ্ন রাস্তায় তাঁর কনভয়ের ওপর তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। তৃণমূলের এই প্রসঙ্গে বক্তব্য ছিল ওই একই এলাকায় সেদিন তৃণমূলের একটি সভা ও মিছিল ছিল। তারা কারও যাত্রা পথ বাধা সৃষ্টি করেনি বা কাউকে আক্রমণ করেনি। কিন্তু পুলিশ সেদিন কী ভাবে ওই একই রাস্তায় জে পি নাড্ডা-র এবং তৃণমূলের সভা ও মিছিল করার একই সময় অনুমতি দিয়েছিলে? আজ যে সেই পরিস্থতি হবে না তার গ্যারেন্টি কোথায়?

কেননা আজ নামখানা, কাকদ্বীপ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈলানের সভায় যোগ দিতে ২৬টি বিধানসভার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের পৈলানে আসতে বলা হয়েছে।কাজেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী আসবেন। অন্যদিকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা কলকাতা, সোনারপুর থেকে যাবেন ডায়মন্ড হারবার ধরে উত্তরমুখী। আর যুযুধান তৃণমূল-বিজেপি-র উভয়পক্ষের সভায় যাওয়ার রাস্তা সেই ডায়মন্ড হারবার রোড। কাজেই পুলিশের ওপর আজ কঠিন পরীক্ষার ভার পড়েছে পরিস্থিতি শান্ত রাখার।

কেননা নামখানায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহের সভা। এখান থেকে তিনি কপিল মুনির আশ্রমে যাবেন। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে পৈলানে। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যাত্রাপথকে নিরাপদ ও সুনিশ্চিত করা জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। অমিত শাহ দক্ষিণ কলকাতার ভারত সেবাশ্রম থেকে সঙ্ঘ থেকে পুজো সেরেছেন। এখানথেকেই সাগরের কপিল মুনির আশ্রমে যাবেন তারপর সেখান থেকে নামখানার সভায় যাবেন। সেখানেই তিনি কলকাতার জন্য পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।