মন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলার ছক কি খুবই ঠান্ডা মাথায় সাজানো হয়! গায়ে কাঁটা দেওয়া কিছু তথ্য একনজরে

মন্ত্রী জাকির হোসেনকে দেখতে ইতিমধ্যেই এসএস কেএম হাসপাতালে পৌঁছেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের ভোটের আগে , ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে নিমতিতা স্টেশনে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে যেভাবে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে তা নিয়ে একাধিক তথ্য উঠতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে অত্যন্ত সুপরিকল্পতভাবে এই গোটা হামলা চালানো হয়। এই বিষয়ে কোন কোন তথ্য উঠছে দেখা যাক।

কম আলো স্টেশনে, কীভাবে ঘটল বিস্ফোরণ?

জানা যাচ্ছে, নিমতিতা স্টেশনের যে অংশে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে এমনিতেই রাতের বেলা কম আলো থাকে। আর ঘটনার দিন আলোর সংখ্যা আরও কম ছিল বলে খবর। আর তার সুযোগেই বিস্ফোরণ ঘটে। আপাতত এক বেসরকারি চ্যানেলের সূত্রে জানানো হচ্ছে যে, জাকির হোসেন যখন সমর্থকদের নিয়ে স্টেশনে ঢোকেন তখনই একটি ব্যাগে রাখা ছিল বোমা। তাঁর সমর্থকদের পায়ে লেগে ওই বিস্ফোরণটি ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে খবর মিলছে।

জাকিরের গতিবিধিতে নজর

জানা যাচ্ছে, যে বহুদিন ধরেই জাকির হোসেনের ওপর নজর রাখছিল হামলাকারীরা। তিনি যে কলকাতা যেতে রাতের দিকের ওই বিশেষ ট্রেনটিই ধরবেন, তা আগে থেকেই হামলাকারীদের কাছে খবর ছিল। আর সেই মাফিকই পরিকল্পনা সাজানো হয়। আর তার হাত ধরেই জাকির হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত আরও ১৪ জন। এমন কি তাঁর সঙ্গে যে সেদিন কম নিরাপত্তা রক্ষী থাকছেন, তাও খবর আগে থেকে ছিল দুষ্কৃতিদের কাছে। এমনই তথ্য উঠছে।

একাধিক সম্ভাবনার তত্ত্ব উঠছে?

প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে দলের মধ্যে কিছুটা গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে দলের একাংশের সঙ্গে জাকিরের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এদিকে তৃণমূলের একাধিক নেতার দল ছাড়ার ঘটনাও এক্ষেত্রে তাৎপর্যবাহী। ফলে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এমন বিস্ফোরণের তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও গোরুপাচার কাণ্ডে জাকিরের মুখ খোলার ঘটনাও অনেকে জল্পনায় রাখছেন। পাশাপাশি অন্যদলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংঘাতের তত্ত্বও উঠতে শুরু করেছে এই ঘটনায়।

রিমোটে বিস্ফোরণ!

এদিন জাকিরকে হাসপাতালে দেখতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, যে রীতিমতো পরিকল্পনা করে রিমোট কন্ট্রোল থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। গোটা বিষয়টিরক তদন্তে রয়েছে সিআইডি।

More MINISTER News