মোশারফ হোসেন
১৯ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে চাওয়া উল্লেখযোগ্য নাম হল মোশারফ হোসেন। তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতি। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে দলের সম্পর্ক ভাল নয়। নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকার সময়েই দলীয় এক নেতার স্মরণসভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে হাজির ছিলেন এই মোশারফ হোসেন। তিনি মূলত শুভেন্দু অধিরাকী অনুগত বলেই পরিচিত ছিলেন। কার্যত শুভেন্দু ঘনিষ্ঠতার কারণে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তরক্ষী তুলে নেয় প্রশাসন। সেই সময় তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু হাতের বলেছিলেন মোশারফ হোসেন শুভেন্দু অধিকারীর পথে চলছেন। আবু তাহেরের সঙ্গে মোশারফ হোসেনের সম্পর্ক ভাল ছিল না। পরবর্তী সময়ে জানুয়ারিতে তৃণমূল ভবনে মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বকে তলব করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে শেষের সংযোজন হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বহরমপুরে যে সভা করেছিলেন, সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন মোশারফ হোসেন। যা নিয়ে এই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
নীলরতন আঢ্য
১৯ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের আরও যে নেতা কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন, তিনি হলেন নীলতরন আঢ্য। ২০১৬-তে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এই নেতাও শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। সাম্প্রতিক কালে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বেসুরো হয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু হাতের খান শুধু টাকা বোঝেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। তিনি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হয়ে তিনি ভুল করেছিলেন বলেই তাঁর মনে হচ্ছে। আবু তাহেরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। নিজের সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন ৩৯ বছরের কাউন্সিলর আর ১৮ বছর বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। আর সাম্প্রতিক সময়ে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন ৫০ বছরের বেশি সময়ের এই সম্পর্ক।
কোনও ক্ষতি হবে না, দাবি তৃণমূলের
এই দলবদলে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না, দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, এই জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা এখন কংগ্রেসে যাচ্ছেন। ফলে দুই দলের সম্পর্ক বোঝাই যাচ্ছে। ২০২১-এর নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল আশাতীত ভাল ফল করবে বলেও সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন তিনি।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে মুর্শিদাবাদের ফল
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে ২২ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ১৬ টি আসনে। আর বিজেপি মাত্র একটি আসনে এগিয়ে ছিল। কংগ্রেস এগিয়ে ছিল ৫ টি আসনে।