তৃণমূলের আরও এক বিধায়ক অব্যাহতি চাইলেন মমতার কাছে, জল্পনা বেড়েই চলেছে

তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়ক আবার জেলা সভাপতি ছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে দল থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন। চেড়েছিলেন দলীয় পদ। এখন পর্যন্ত যাননি কোনও বিশেষ দলে। এবার লক্ষ্মীরতন শুক্লার সেই পন্থাই নিলেন বাংলার আরও এক অভিনেতা-বিধায়ক।

দল ছাড়তে চেয়ে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

তৃণমূলের অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী সম্প্রতি দল ছাড়তে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, আর রাজনীতিতে নয়, এবার ফিরে যেতে চাই নিজের জগতে। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ফের অভিনয়ে মন বসাতে চান চিরঞ্জিৎ। সেই ইচ্ছাপ্রকাশ করেই তিনি চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কোনও নির্দিষ্ট দলে যোগ দেবেন না চিরঞ্জিৎ

বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেতা-বিধায়ক জানিয়েছেন, তৃণমূল ছেড়ে তিনি নিজের জগতেই ফিরে যাবেন। কোনও নির্দিষ্ট দলে তিনি যোগ দেবেন না। রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চান তিনি। জীবন কাটাতে চান নিজের মতো করে। টলিউড অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর এই বক্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।

আর রাজনীতি নয়, চিরঞ্জিৎ ফিরতে চান নিজের জগতে

ভোটের মুখে চিনি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। চিরঞ্জিতের এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট তিনি তৃণমূল ছাড়তে চান, অর্থাৎ বারাসতে তিনি এবার প্রার্থী হচ্ছেন না। যদিও এর আগেও তিনি বিধায়ক পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন। তারপর তিনি মন পরিবর্তন করে রয়েছে গিয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক।

২০১১ সালে থেকে ২০২১- বিধায়ক চিরঞ্জিৎ

২০১১ সালে চিরঞ্জিৎ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থেকে ভোটে লড়ছিলেন। পরিবর্তনের সেই যুদ্ধে চিরঞ্জিৎ জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের টিকিটে। তারপর ২০১৬ সালেও তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল রাজনীতি থেকে সরে আসার বার্তায়। তারপর তিনি ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন এবং ফের জিতেছিলেন। আবারও সেই সংশয় ধরা পড়ল ২০২১-এ।

ফ্যাক্টর সেই কৃষক, বিজেপির শহুরে ভিত ভেঙে দিয়ে পাঞ্জাবে বাজিমাত কংগ্রেসের

More MAMATA BANERJEE News