কাটমানি ছাড়া বিকল্প রাস্তা নেই
এদিন ফের একবার তৃণমূলকে প্রাইভেট লিমিটেড কম্পানি বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে কাটমানি ছাড়া বিকল্প কোনও রাস্তা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের একাংশের নেতাদের পাঁচ পয়সা, দশ পয়সার নেতা বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন এইসব নেতাদের হাতেখড়ি তিনিই দিয়েছিলেন। তাঁরা এখন হুমকি দিচ্ছেন, বিজেপির কর্মসূচিতে গেলে সরকারি প্রকল্পের বাকি টাকা দেওয়া হবে না। তিনি সভায় আসা জনগণকে বলেন একদম ভয় পাবেন না। এই টাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা। তিনি বলেন মোদীজি সবাইকে ২০২২ সালের মধ্যে বাড়ির টাকা দেবেন। কিন্তু এখানে তৃণমূলের নেতারা মাতব্বরি করছে।
১৫ মে পরে কেউ থাকবে না
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যাঁরা হুমকি দিচ্ছি তারা কেউ মে মাসের ১৫ মের পরে থাকবে না। আর ওই দিনের পরে ১০০ দিনের টাকা মারা আর পিএমওয়াইয়ের টাকা ঝাড়া আর আম্ফানের টাকা যারা ঝেড়েছে, তাদের বিজেপিতে নেওয়া হবে হবে। এটা যেন সবাই নিশ্চিন্তে থাকুন। সবার মধ্যে যেন এব্যাপারে কোনও দ্বিধাদ্বন্দ্ব না থাকে। তিনি বলেন আম্ফানের সময়ে যাঁদের বাড়িতে গরু নেই, তারাও ৩০ হাজার করে টাকা নিয়েছিল। পানের বরোজ নেই, তার জন্যও টাকা নিয়েছিল। সেইসব তালিকা তাঁর কাছে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলায় প্রকৃত পরিবর্তন হবে
তিনি বলেন, তৃণমূলকে সমূলে উৎপাটন করতে বিজেপির বন্ধুরা আগে থেকেই ছিলেন। সঙ্গে তিনিও নেমেছেন। সবাই মিলেই এই উৎপাটন করতে হবে। বাংলায় প্রকৃত পরিবর্তন হবে। সোনার বাংলা তৈরি হবে। আর বাংলায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার হবে। একহাতে মোদীজির সরকারের লাড্ডু পিএম কিষাণ, আয়ুষ্মাণ ভারত, পিএমওয়াই অন্যদিকে বিজেপি যে রাজ্য সরকার হবে, তার লাড্ডু। দুটো করে লাড্ডু দুহাতে দেওয়া হবে। তিনি নিজে মাটির গন্ধ ভালই বোঝেন। তিনি উত্তরবঙ্গেও ঘুরে এসেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছেন, বিজেপিই সরকার গড়বে।
আচরণ নিয়ে সতর্ক করলেন শুভেন্দু
দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন বিজেপি সরকার হচ্ছে। তাই এখন থেকেই তিনি বিজেপি কর্মীদের বলেন, তৃণমূলের কর্মীদের বলতে, তারা যেন আচরণ ঠিক করেন। কেননা নিউটনের সূত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেটা যেন করতে না হয়।