ছত্তিশগড় মডেলে শান কংগ্রেসের
এদিকে আসন্ন বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই অসমে শেষ মূহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে ঝাপিয়েছে বিজেপিও। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা ধরে রাখতেও মরিয়া পদ্ম শিবির। এমনকী প্রায় প্রতি সপ্তাহেই অসমে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও দেখা মিলছে পদ্ম শিবিরেরও আরও একাধিক প্রথম সারির নেতাদের। যদিও একদা রঞ্জন গৈগয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস আসন্ন নির্বাচনে ছত্তিশগড় মডেলকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিএএ-এনআরসি ইস্যুকেই হাতিয়ার
এই ক্ষেত্রে তাই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরুতেই তারা সিএএ-এনআরসিকে হাতিয়ার করছে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেই অসমে প্রথম চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি সরকার। যা থেকে বাদ যায় লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম। যা নিয়ে আজও অব্যাহত রাজনৈতিক চাপানৌতর। এমতাবস্থায় বিজেপিকে পাঁকে ফেলতে এই এনআরসি-সিএএ তরজাতেই নতুন করে ধার দিচ্ছে কংগ্রেস।
মুথ্যমন্ত্রীর মুখ ছাড়াই নির্বচনী প্রচারে কংগ্রেস
অন্যদিকে আসন্ন নির্বাচনে কোনও নেতাকেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করেও প্রচার করছে না কংগ্রেস। ২০১৮ সালে একই কায়দায় ছত্তিশগড়ে প্রচার চালিয়েছিল রাহুলের দল। অন্যদিকে একমুখী প্রচারের বদলে অসমের চারটি জোনে আলাদা আলাদা ইস্যুতে লাগাতার প্রচারও শুরু হয়েছে।বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বোডো অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। এমনকী চারটি জোনেই থাকছে কংগ্রেসের তরফে চার প্রধান মুখ।
কোন এলাকার দায়িত্বে কোন নেতা ?
সূত্রের খবর, এই চারটি জোনের মধ্যে একটি জোনে নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছেন কালিয়াবরের সাংসদ তথা তরুণ গগৈয়ের ছেলে গৌরব গগৈ। এছড়াও মুখ্য দায়িত্বে অন্যান্য জোনগুলিতে থাকছেন মহিলা কংগ্রেসের প্রধান এবং শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেও, নাজিরার বিধায়ক দেবব্রত সাইকিয়া এবং নওগাঁর সাংসদ প্রদ্যুত বোর্দোলাই। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি গোটা রাজ্যেই সিএএ-র প্রতিবাদেও নতুন করে শান দিচ্ছে কংগ্রেস।