স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা বন্দিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বিরলতম অপরাধের জন্য। শবনম নামের ওই মহিলা বন্দির ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরোহার বাসিন্দা শবনমকে উত্তরপ্রদেশের মথুরায় একমাত্র মহিলা ফাঁসিস্থানে ফাঁসি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মিরুটের পবন জল্লাদ, যিনি নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন, তিনি ফাঁসি দেবেন শবনমকে। ইতিমধ্যে তিনি ২ বার ফাঁসির জায়গা ঘুরে এসেছেন। যদিও কবে নাগাদ এই ফাঁসি হবে তা এখনও জানানো হয়নি।
২০০৮ সালের এপ্রিলে শবনম তার প্রেমিকের সহায়তায় নিজের পরিবারের সাতজন সদস্যকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট শবনমকে ফাঁসির সাজা শোনায়। রাষ্ট্রপতিও তার প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেয়। যদি এই ফাঁসি বাস্তবায়িত হয়, ফলে শবনমই হবে স্বাধীনতার পরে প্রথম মহিলা বন্দি, যার ফাঁসি হতে চলেছে।
১৫০ বছর আগে মথুরা জেলে প্রথম মহিলা ফাঁসিকক্ষ তৈরি করা হয়, কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে কোনও মহিলাকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি। জেল সুপার শৈলেন্দ্র কুমার মৈত্রেয়া জানান ফাঁসির দিন এখনও স্থির হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলছে। শবনমকে খুব দ্রুত ফাঁসি দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান বক্সার থেকে ফাঁসির দড়ি নিয়ে আসা হচ্ছে। ফাঁসি স্থলের কাঠ ও লিভারের পর্যবেক্ষণ চলছে। এই সূত্র ধরেই ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ ফাঁসি স্থল দুবার পরিদর্শন করেছেন।
রেল রোকো কর্মসূচি ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, কৃষকদের ঠেকাতে ৪ রাজ্যে বাড়তি নিরাপত্তা রেলের