মালদহ : তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠল। বহিরাগত গুন্ডাদের ভাড়া করে নিয়ে এসে নিজের বাড়িতে মিটিং করে তাকে এবং তৃণমূলের যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসকে খুন করার পরিকল্পনা করছেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। এমনই অভিযোগ করেছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।

এদিন মালদহ শহরের কালিতলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই অভিযোগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। এদিন কালিতলার পার্টি অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসও।

উল্লেখ্য,সোমবার রাতে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী ও তাঁর ঘনিষ্ট জেলা যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের নেতৃত্বে বর্তমান বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল বিধায়ক।

বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, বিধায়কের ওপর হামলা এবং তার বাড়িতে হামলার ঘটনায় তারা কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় কর্মীদের জনজোয়ার এবং সাফল্যমন্ডিত হবার পর দল থেকে গুরুত্ব কমে আসছে এই ভেবে নীহার রঞ্জন ঘোষ যুব সভাপতি এবং কৃষ্ণেন্দুকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করছে।

আরও জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী এক জল ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্প্রতি কথা কাটাকাটি ও তাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিধায়ক এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে । বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।

আর এই ঘটনা নিয়েই সোমবার রাতে বিধায়কের বাড়ির সামনে গন্ডগোল হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলেন তাঁরা। তাই বলে তাঁরা কেউই বিধায়ক এবং তাঁর বাড়িতে হামলা করেননি।

বিধায়ক ও তার অনুগামীরা নিজেরাই বাড়িতে ভাঙচুর করে তাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের ওই প্রাক্তন মন্ত্রী । এরপর সেখানে উপস্থিত ইংরেজবাজার থানা পুলিশের সামনেই বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং তৃণমূলের যুব সভাপতিকে বাড়িতে ঢুকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর সেই ছবি ভাইরালও হয়েছে। এই ঘটনার পর ভীত এবং আতঙ্কিত তাঁরা। তার পাশাপাশি পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন যুব সভাপতি এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।

এদিন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী আরও বলেন, “প্রতিনিয়ত বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি ঘনঘন রং পাল্টাতে অভ্যস্ত। মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী যে ভাবে তাকে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি সেই ভাবেই কাজ করছেন।”

এদিকে পাল্টা নিহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, ” কাল বাড়িতে হামলা করেছে চব্বিশ ঘণ্টা আগেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। সুতরাং এসব অভিযোগের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না। মালদহ জেলার মানুষ জানে কে বিজেপিতে যাওয়ার চেষ্টা করছে।”

এই বিষয়ে বিজেপির মালদহ জেলার সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গোষ্ঠী কোন্দল কাটেনি এটাই এখন তৃণমূলের কালচার।কিছুদিন অপেক্ষা নির্বাচন ঘোষণা হলো এই দলটা উঠে যাবে।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।