হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মেধা তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ
১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড রাজ্যে শিক্ষক-চিকিৎসকদের নিয়োগ নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকাতেই দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেই তালিকায় রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাজির ছেলে অমৃতেশ মাজি শুধুমাত্র এমবিবিএস পাশ করেই বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজির মেডিসিন বিভাগের আরএমও পদে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। অন্যদিকে নির্মল মাজির পুত্র বধূ অর্পিতা বাইন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ১৩ টি বিভাগে নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুটি ক্ষেত্রেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক স্নাতকোত্তরের নাম নিয়োগের তালিকায় ওঠেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ
এতো গেল পরিবারবাদের কথা। এছাড়াও শাসকদলের ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকদেরও সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে নাম এসেছে দীপাঞ্জন হালদার এবং সঞ্চারী চক্রবর্তীর। দীপাঞ্জন লাহদার একসঙ্গে ছটি বিভাগে এবং সঞ্চারী চক্রবর্তী একসঙ্গে তিনটি বিভাগে নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি শাসক ঘনিষ্ঠ হাউস স্টাফরাও বাড়তি সুযোগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই সুযোগ পাননি এঁদের থেকে অনেক বেশি ডিগ্রি থাকা চিকিৎসকরা।
নিন্দায় বিরোধী চিকিৎসকমহল
বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সরকার বিরোধী বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন। এদের মধ্যে সবার আগে রয়েছে বাম প্রভাবিত অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলফ সার্ভিস ডক্টরস। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তাদের তরফে হেলফ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে। বিষয়টিকে নজিরবিহীন বলে অভিযোগ করে তারা বলেছে এর প্রভাব পড়বে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপরে। অনেক ভাল চিকিৎসক এর ফলে রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে পারেন বলেও আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে এই সংগঠন। পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। এব্যাপারে সরব হয়েছে বিজেপির চিকিৎসক সেলও।
মুখ খুলতে চাননি স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তারা
এব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তারা। তবে হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড সূত্রে খবর শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা এমবিবিএস পাশ। অন্যদিকে অনেক স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়া চিকিৎসক শেষ পর্যন্ত নো-অবজেকশন সার্টিফিটেক জমা দিতে না পারায়, তাদের আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে।