শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : ১৮ ফেব্রুয়ারী অমিত শাহের সভা রয়েছে দক্ষিণ ২৪পরগনার কাকদ্বীপে ।এদিকে ওই একই দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানে তৃণমূল সুপ্রিমো এবং তৃণমূলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ডাকা হয়েছে। বিজেপির তরফে মমতা-অভিষেকের এই সভা ডাকার সমলাচনা করে বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পায়ে পা লাগিয়ে সংঘাত বাধাবার জন্য এভাবে একই দিনে একই জেলায় সভা ডেকেছেন। বিজেপির তরফে মমতার এই সভাকে অশান্তি করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈলানের এই সভার কথা আগে জানা ছিল না। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈলানে সভা করার কথা গত কালও করোও জানা ছিল না। আজ হটাৎ সবাই জানলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮ ফেব্রুয়ারী পৈলানে সভা করবেন । সাধারণভাবে আমরা জানি আগে কারও বড় সভা থাকলে সেই একই জেলায় বা অঞ্চলে পুলিশ অন্য সভার অনুমতি দেয় না। আমাদের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা অনেক হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন তো মমতার মতোই চলে। তাতে বিজেপি-র বেলায় যে নিয়ম তৃণমূলের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম নেই। অমিত শাহের সভায় বাধাদানের জন্য ওই একই দিনে এবং একই জেলায় ১৮ ফেব্রুয়ারী তৃণমূলের তরফে সভা ডাকা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার রোড দিয়ে যাতে বিজেপি-র সমর্থকরা অমিত শাহর সভায় পৌঁছতে না পারে তার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা ডেকেছেন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈলানের সভা প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার আরও বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনার ম্যাপটা যারা জানেন তাঁরা জানেন ডায়মন্ড হারবার রোড হচ্চে এই এলাকার আর্টারিয়াল রোড। তাই অমিত শহর কাকদ্বীপের সভায় কলকাতা, সোনারপুর থেকে বিজেপি সমর্থকরা নামখানার অভিমুখে যাবেন ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে। তাদের গন্তব্য থাকবে দক্ষিণ মুখী। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা পৈলানে। সেই সভায় নামখানা, কাকদ্বীপ থেকে তৃণমূল সমর্থকারেরা আসবেন উত্তরমুখী, ওই একই ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে। এই দুটো সভায় লোক যাওয়ার জন্য ডায়মন্ড হারবার রোড অপ্রতুল, পর্যাপ্ত রাস্তা সেটা নয় । তাই আজ হটাৎ এভাবে সভা ডেকে দেওয়ার মানে অশান্তির চেষ্টা করা। কেননা বিজেপি এবং তৃণমূলের মিছিল মুখমুখী হবেই, তাই সংঘাতের সম্ভাবনাও থাকছেই। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র প্রশাসণ যেমন নবান্ন অভিযানে আসা একটি সংগঠনের একজন যুবককে মেরে ফেললো, তেমন ঘটনা এখানেও কিছু হলে সেই দায় তৃণমূল সরকারের ওপরই বর্তাবে।”
জয়প্রকাশবাবু বলেন, “আজ এভাবে সভা ডেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তায় দিচ্ছেন যে তিনি পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছেন। এর জন্য অশান্তি হলে সেই দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই নিতে হবে।”

প্রসঙ্গত মমতা-অভিষেকের পৈলানের সভায় যে ভিড় হবেই সেটা জেলা তৃণমূলের সূত্রে জানা গেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি বিধানসভার মধ্যে ২৬টি বিধানসভা থেকে তৃণমূল কর্মীদের এই সভায় আসার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে বিজেপির তরফেও দাবি করা হয়েছে যে হেতু অমিত শাহের সভা হবে নামখানায় তাই সেখানেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি বিধানসভা থেকেই বিজেপি সমর্থকরা যোগ দেবেন। তৃণমূলের তরফে সেই রকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিসেম্বর মাসে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে দলের সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিজেপি যেখানে যখন সভা করবে হয় সেদিন বা তার পরের দিন সেখানে তৃণমূলের পালট সভা করতে হবে। এই সভা সেই ঘোষণা অনুযায়ী হচ্ছে বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে। তাই পৈলানের সভা হটাৎ করে ডাকা হয়নি বলে তৃণমূলের দাবি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।