আক্রান্ত রাজ্যের মন্ত্রী
আক্রান্ত রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন। প্রতিদিনের মতো নিজের বিড়ির কারখানা থেকে বেরিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নিমতিতা স্টেশনে যাচ্ছিলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। পথে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। যার জেরে মন্ত্রী গুরুতর আহত হন। বিশেষ করে তাঁর বাম হাত ও বা পায়ে আঘাত লেগেছে।
আহত সঙ্গীসাথীরাও
দুষ্কৃতীদের মুহুর্মুহু বোমায় আহত হয়েছেন তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী এবং তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মীও। প্রথমে তাঁদেরকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন দুষ্কৃতকারীরা দলে ছিল প্রায় ১০ থেকে ১২ জন
তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতির প্রতিক্রিয়া
এই হামলাকে পরিকল্পিত হামলা বলে বর্ণনা করেছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবু তাহের। তিনি বলেছেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের সভাতেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে হামলাকারী কারা সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। তবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের বিরোধী রাজনৈতিক দল এই হামলার সঙ্গে যুক্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরেই এই হামলা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে দলে সভা রয়েছে। সেই সভায় যোগ দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিমতিতা স্টেশনের দিকে যাওয়ার পথে এই হামলা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন অধীরের
মন্ত্রীর ওপরে এই হামলায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, জাকির হোসেন বিরোধী দলের মন্ত্রী হলেও তাঁর সঙ্গে পরিচয় দীর্ঘদিনের। তিনি জেলার শিল্পপতি এবং হাজার হাজার মানুষের রুটি-রুজির বন্দোবস্ত করেছেন। এই মন্ত্রীকে পরোপকারী বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন আগে তিনি কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে বলেও মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী। জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তোলার পাশাপাশি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।