স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটে শামিল হচ্ছে পিরজাদা আব্বাস সিদ্ধিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টও। আলিমুদ্দিনে জোটে বৈঠক শেষে একযোগে একথা ঘোষণা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ বলে রাখি, পিরজাদা আব্বাস সিদ্ধিকিকে রাজনীতিতে ‘ভাইজান’ বলা হয়৷
এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে ছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, নেপাল মাহাতো। বামেদের তরফে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু-সহ সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম ছিলেন। বৈঠক শেষে দু’তরফেই জানানো হয়, বাম-কংগ্রেসের আসন রফা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস ১৯৩টি আসনের রফা চূড়ান্ত করেছে। ৯২টি আসনে কংগ্রেস ও ১০১টি আসনে লড়াই করবে বামেরা।সূত্রের খবর, জোটের কাছে তাঁরা ৬৫-৭০টি আসন ছাড়ার দাবি জানিয়েছে।আব্বাসের দলের এই বিরাট আসনের দাবি কী ভাবে মেটানো হবে তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। এদিন জোটের বার্তা দিলেও আব্বাসের দলকে কতগুলি আসন ছাড়া হবে, সেব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি বিমান বসু-অধীর চৌধুরীরা৷
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, ‘কত আসন ছাড়া হবে তা এখনই ঘোষণা নয়। তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ সফল।’ অধীরের দাবি,”রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জটের উপর আস্থা বাড়ছে মানুষের। মইদুল ইসলামের মৃত্যু তারই প্রমাণ৷ বাংলার লড়াইটা শুধু বিজেপি-তৃণমূলের লড়াই নয়। বাংলার লড়াইটা হতে চলেছে ত্রিমুখী। বাম-কংগ্রেস জোট কাউকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য লড়াই করছে না। নিজেরা ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে।”
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘‘২০২১-এর নির্বাচনে আমরা চাই বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ মিলে একসঙ্গে লড়াই করুক। সামগ্রিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আসন রফা করা হবে।’’
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)এর চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তাঁর সঙ্গে আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটে বিমান এবং সেলিমের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, সিপিএমের সঙ্গে আসন সমঝোতায় কোনও সমস্যা না থাকলেও, বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি ও সিপিআইয়ের আসন নিয়ে সমস্যা হয়েছে। যদিও, সেই সমস্যা দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে বলেই জানান নওশাদ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.